২০১৩ সালের ০৩ জুন মামলাটিতে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের পর গত ৪ বছরেও কোনো সাক্ষী আদালতে না আসায় রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ শামীম আহমেদের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের (আইজিপি) মাধ্যমে এ পরোয়ানা কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০০৫ সালে চট্টগ্রাম নৌ-বন্দর দিয়ে বাধাকপির ভেতরে করে যুক্তরাজ্যে ২১ কেজি হেরোইন পাচার করে বিডি ফুডস্। চালানটি যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সেদেশের পুলিশ তা উদ্ধার করে। এ ঘটনা যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারকে জানালে ২০০৬ সালের ২১ এপ্রিল রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
২০১২ সালের ২৬ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হোসেন বিডি ফুডসের মালিক বদরুদ্দোজা মমিনসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তারা হলেন- বিডি ফুডসের মালিক বদরুদ্দোজা মমিন, নাজমুল হায়দার ভূঁইয়া বুলবুল, মো. মাঈনুদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক মিঠু, আবুল বাশার, কাজী জাফর রেজা, মোখলেসুর রহমান নয়ন ও মিন্টু ওরফে তাজ।
আসামি নাজমুল, মোখলেস ও মাঈনুদ্দিন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে বিডি ফুডসের মালিক-কর্মকর্তাদের নাম উঠে আসে।
চার্জ গঠনের সময় আসামি বদরুদ্দোজা মমিন ও কাজী জাফর রেজাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. সামস-উল-আরেফীন।
২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্ট একটি সুয়োমোটো রুলে আসামি বদরুদ্দোজা মমিনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ওই রুলটি এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন।
একই কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজধানীর সূত্রাপুর থানার ৫৪ কেজি হেরোইন পাচারের আরেকটি মামলা ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ আদালতে বিচারাধীন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর