রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে শিশুটিকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউ থেকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে একদল চিকিৎসক চেষ্টা চালিয়ে অস্ত্রোপচারের কাজ সম্পন্ন করেন।
বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আবদুল মোত্তালেব হোসেনের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায়, শিশু কাইয়ুমের নাড়ি একাধিক জায়গায় ছিঁড়ে গেছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডা. আবদুল মোত্তালেব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত অস্ত্রোপচরের কাজ চালানো হয়। তবে ৭২ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত শিশুটি শঙ্কামুক্ত কি না তা বলা যাবে না।
এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার একটি পোল্ট্রি ফিড তৈরির কারখানায় কর্মরত শিশুটিকে ধরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়। এতে পেটফুলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অন্য শ্রমিকরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে শিশু ওয়ার্ডের সার্জিক্যাল ইউনিটে রাখা হয়।
সেখান থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় শিশুটির শরীরে অস্ত্রোপচার চালান চিকিৎসকেরা। তবে শিশুটির পুরো পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
জেএম