রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ’-এ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি করেন।
বিজিবি'র ৯০তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রথমবাবের মতো প্রধান অতিথি হিসেবে বিএসএফ ডিজিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাহিনীর মধ্যে সু-সম্পর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কের কারণে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহজেই করতে পারছি।
গত কিছু বছর যাবৎ দুই দেশের সীমান্তবর্তী সেনাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক জোরদার হয়। আর এ কারণেই সীমান্তে হত্যাসহ বিভিন্ন চোরাচালান কমেছে। আশা করছি এই সুসম্পর্কের কারণে আগামীতে দুই দেশের দুই বাহিনী সফলভাবে সীমান্ত সংক্রান্ত সব অপরাধ দমন করতে সক্ষম হবে।
উভয় দেশের সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে যারা বসবাস করেন তাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে এবং অপরাধ কমানোর বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তবেই সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান শক্তভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ’
বর্ডার হাট চালুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুই দেশের সীমান্তে বর্ডার হাট চালু রয়েছে। আমরা আরও কিছু বর্ডার হাট চালু করবো। উভয় দেশের জনগণ তাদের পণ্যের রদবদল ও বিকিকিনি করতে পারলে চোরাচালন অনেকাংশে কমবে। ’
উভয় দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুন্দর হোক।
তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা এখন অনেক কমে গেছে। আমরা সীমান্ত হত্যার পক্ষে নই।
সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে তিনি বলেন, হিউম্যান ট্রাফিকিং, মাদক চোরাচালান, স্বর্ণ চোরাচালান, ফেক কারেন্সির মতো অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। আসলে অপরাধীরা কোন দেশের সেটা বড় নয়। কিভাবে এসব অপরাধীদের দমন করা যায় এবং ভুক্তভোগীদের কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে দুই বাহিনী আলোচনা করেই সীমান্তে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে।
**সীমান্তে শান্তি রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করবে বিজিবি-বিএসএফ
**বিজিবি'র ৯০তম ব্যাচে প্রশিক্ষিত সৈনিক ৪৩৩ জন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসজেএ/আরআর