রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি প্রবাহ ১৪ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। স্বাভাবিক প্রবাহ ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যমুনার পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দু’একদিনের মধ্যে নিম্নাঞ্চলের পানিও নামতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সদর উপজেলায় বাহুকা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন সংস্কার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় দু’দিন ধরে বাঁধটির সংস্কার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ওই এলাকার অন্তত ৩০টি গ্রাম বন্যার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে যমুনার পানির প্রবল স্রোতে নির্মাণাধীন ওই বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বাংলানিউজকে জানান, যমুনার প্রবল স্রোতের কারণে কিছুটা দেরি হলেও রোববার দুপুরের মধ্যে বাঁধটির সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। যমুনার পানি দু’একদিনের মধ্যে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোনো এলাকা বা বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়নি। তবে যেসব মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৬৩ মেট্টিক টন চাল ও ৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
আরবি/