চলতি বছরের ১৩ জুন পাহাড় ধস ও পানির ঢলে বিদ্যালয়ের ভবনের একাংশ ভেঙে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবসহ নানান শিক্ষা সামগ্রী নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয় মাঠে কয়েক ফুট মাটি জমা হয়।
ওই স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্র রতন চাকমা বলেন, ‘আমাদের স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম আবারো ফিরিয়ে আনতে আমরা বেড়িবাঁধ সংস্কারে স্বেচ্ছায় কাজ করছি। ’
ঘাগড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার নয়ন মনি চাকমা বলেন, তাদের এ এলাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য ওই প্রতিষ্ঠানটির বেড়িবাঁধ সংস্কারে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুলের শিক্ষার্থী এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মিলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দ্রা দেওয়ান বাংলানিউজকে জানান, গত ১৩ জুন ভূমি ধসে ওই স্কুলের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় স্কুলের একটি ভবনসহ লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ল্যাবের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলেই পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ স্কুলে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে স্কুলে পরীক্ষা এবং শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা সবাই মিলে বেড়িবাঁধ সংস্কারে কাজ করছে।
এ সময় তিনি স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
চলতি বছরের ১৩ জুন ভারী বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে পাঁচ সেনা সদস্যসহ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫৮টি পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
এসআরএস