শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ নামফলক অপসারণ করা হয়। ফলে কলঙ্কমুক্ত হলো প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন উত্তরা গণভবন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এমপি, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. আজাদুর রহমান, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুজ্জামান ভুঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. চিত্রলেখা নাজনিন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রউফ সরকারসহ সাংবাদিক, আইনজীবী শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার কয়েক হাজার মানুষ।
এর আগে উত্তরা গণভবন থেকে পাকিস্তানী কুখ্যাত গভর্নর মোনায়েম খান'র নামফলক অপসারণের জন্য সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ভবানীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স থেকে একটি গণমিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি উত্তরা গণভবনের সামনে গিয়ে হাজির হয়। গণ মিছিলে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এসময় স্থানীয় তিনজন সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে মোনায়েম খান'র নামফলক অপসারণ কাজ সম্পন্ন করেন।
পরে উত্তরা গণভবনের মূল ফটকের বাইরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতারা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক বক্তব্য রাখেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর হলেও উত্তরা গণভবন থেকে রাজাকার মোনায়েম খানের নাম ফলক অপসারণ হওয়ায় সাধারণ মানুষও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান আকন্দ বাংলানিউজকে জানান, উত্তরা গণভবন থেকে মোনায়েম খানের নামফলক অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশে ৪ জুলাই গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সুরাইয়া বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠি গত ৫ জুলাই তার হাতে আসে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, নাটোর জেলার উত্তরা গণভবন থেকে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার মোনায়েম খানের নামফলক জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অপসারণ করে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তা অবহিত করতে হবে। তারই আলোকে এ নামফলক অপসারণ করা হলো।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. আজাদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা থেকে রাজাকার মোনায়েম খানের নামফলক অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
কিন্তু উত্তরা গণভবনটি যেহেতু সংরক্ষিত স্থাপনা, তাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা ছাড়া জেলা প্রশাসন এটি অপসারণ করতে পারছিল না। নির্দেশনা পাওয়ার পর তা অপসারণ করা হলো। এতে উত্তরা গণভবনের নতুন ইহিতাস সৃষ্টি হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই, ২০১৭
আরএ