শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরফিনা এ উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি খামারটারী গ্রামের সুজন মিয়ার স্ত্রী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে জানান, সুজন মিয়ার সঙ্গে রোববার (৯ জুলাই) রাতে আরফিনার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এর চার মাস আগে পরিবারের চাপে প্রেমের বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটান আরফিনা।
দ্বিতীয় বিয়ের দুইদিন পর মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে হঠাৎ করে আরফিনা টেবিলে থাকা দা' দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দেন। পরে বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় সুজনকে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সুজন মিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে আরফিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ রাতেই আরফিনাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় বাংলানিউজকে জানান, আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
এসআই