বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর ছাতারদিঘীর পাল্টা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা মহিলা কেন্দ্রে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।
এজেন্টরা বলেন, কখনোই এজেন্টদের মাটিতে বসতে দিতে দেখিনি।
এজন্য নির্বাচন অফিস ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করেন তারা।
সকাল সাড়ে ৯টায় ওই কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, পোলিং অফিসাররা একটি করে হাইবেঞ্চ ও ছিট বেঞ্চ ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করেন। আর পাশেই এজেন্টদের মাটিতে মাদুর পেতে বসতে দেয়া হয়।
নারীদের বুথের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এজেন্ট রুবিনা বেগম, রহিমা বেগম এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর এজেন্ট জেবুন নেছা, জেসমিন বাংলানিউজকে জানান, এর আগে কখনও এমনভাবে ভোট গ্রহণ দেখেননি। মাটিতে বসে তাদের সমস্যা হওয়ায় প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করা হলে বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়।
ওই কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মাদ্রাসায় কোনো চেয়ার-টেবিল না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। কেবল ভোটগ্রহণের সুবিধার জন্য পোলিং অফিসারদের বসতে দেয়া ও ভোট বাক্সসহ নির্বাচনী বিভিন্ন উপকরণ রাখতে অন্য জায়গা থেকে কিছু চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ আনা হয়। পরে এজেন্টদের সমস্যার কথা রিটার্নিং অফিসারকে জানানোর পর তাদের বসার জন্য বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়।
সিংড়া উপজেলা রিটার্নিং ও নির্বাচন অফিসার এ এস জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পর্যাপ্ত বেঞ্চ না কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সেখানে বসার জন্য বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এসআই