কয়েক মাস ধরেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও এর থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না রাজধানীবাসী।
নগরবাসী বলছেন, পত্র-পত্রিকায় ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে চিকুনগুনিয়ার ব্যাপারে অনেক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গাড়িচালক বাংলানিউজকে বলেন, শিশু হাসপাতালের যে ডাক্তারের গাড়ি আমি চালাই তারা বাসা ধানমন্ডির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে। ওই অ্যাপার্টমেন্ট এর গ্যারেজে মশার কামড় খেয়ে আমরা ৩৫ জন ড্রাইভার চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি।
মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শিবলু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ঘরে ঘরে এখন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন চিন্তায় আছি। চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক থেকে আমরা কবে রেহাই পাবো কে জানে।
রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে তারা মশা নিধনে এতো এতো কাজ করছে। কিন্তু ইন্দিরারোড এলাকায় গত এক মাসে সম্ভবত এক বার স্প্রে করা হয়েছে। ভাইরাসটি যখন ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে সেই সময় মাসে একবার স্প্রে করলে হয়? চিকুনগুনিয়াকে সিটি করপোরেশন মনে হচ্ছে এখনো হালকা ভাবে নিচ্ছে।
চিকুনগুনিয়ার প্রতিরোধ সম্পর্কে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম এ সালেহ ভূঁইয়া শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আগের যে কোনো সময় তুলনায় মশক নিধনের কাজ বেশি করছেন। এছাড়া ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে সামাল দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে আমরা যথেষ্ট কাজ করে চলছি। চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে আমাদের এখন জন সচেতনতার পাশাপাশি নগরবাসীর সহযোগিতার প্রয়োজন।
চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নেয়া ব্যবস্থার সুফল আর কিছু দিন পর থেকে রাজধানীবাসী বুঝতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তবে সিটি করপোরেশনের এই সব বক্তব্যকে লোক দেখানো বলে মনে করছে রাজধানীবাসী। তারা বলছেন আদতে তারা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কোনো কাজই করছে না। পত্র পত্রিকায় কিছু লেখালিখি হলে তারা লোক দেখানোর জন্য কিছু কাজ করে। কিছু দিন পরে আবার সেই কাজ বন্ধ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৭,২০১৭
এমএ/আরআই