বুধবার (২৮ জুন) দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় দুপুরে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৯।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পিবিটিএলের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, পরিচালক নাছরিন খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ চৌধুরী, এম ফজলুর রহমান, শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, মসিউর রহমান চৌধুরী, এবি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা সালমা আক্তার, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন, এবি ব্যাংকের এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, আরশাদ মাহমুদ খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, একই ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন বিভাগ) শাহানুর পারভীন চৌধুরী, ব্যাংকের এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক জার-ই এলাহী খান ও রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামান।
বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল) এবি ব্যাংকের চারটি বোর্ড সভার জামানত ছাড়াই ব্যাংক গ্যারান্টি পায়। এর সঙ্গে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও জড়িত। এই গ্যারান্টি ব্যবহার করে পিবিটিএল আটটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়ক জামানত দেখিয়ে ঋণ নেয়। এছাড়া এম মোরশেদ খান অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদন করলেও তা কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই করা হয়নি। ফলে এখানে দুর্নীতির মাধ্যমে এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত তরা হয়েছে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, কমিশনের তদন্তে এবি ব্যাংকের ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা ১৩ পয়সা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসজে/এএ