ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদ শেষে গ্রামগঞ্জে বিয়ের ধুম

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
ঈদ শেষে গ্রামগঞ্জে বিয়ের ধুম বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের বাড়িতে খাওয়া- দাওয়া/ বাংলানিউজ

বরিশাল: মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতরের তৃতীয় দিন চলছে। সরকারি ছুটি শেষে অনেকেই কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন, এরইমধ্যে অনেকে কর্মস্থলে যোগও দিয়েছেন। কেউ কেউ বাড়তি ছুটি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে আরো ক’টাদিন কাটাচ্ছেন।

ঈদের ছুটিতে অলস সময় কাটাতে অনেকে বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় করলেও দখিনের জনপদ বরিশালের গ্রামাঞ্চলের দৃশ্যপটে কিছুটা ধুমধাম পরিবেশ চোখে পড়ে। কারণ রোজার কারণে বন্ধ থাকার পর ঈদ পরবর্তী সময়ে পুর্বনির্ধারিত বিয়ের ধুম পড়েছে এ জনপদে।

 

বুধবার (২৮ জুন) বরিশাল সদর উপজেলা ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন দেখা যায়।

এরমধ্যে কোনো বাড়িতে দেখা যায় কন্যা তুলে দেওয়ার আয়োজন, কোনো বাড়িতে চলছে বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান।  
 
বরিশালের বিভিন্ন এলাকার বিয়ে নিবন্ধনকারী ও ঘটকরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ঈদ ও কোরবানির পরের সময়টায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বা উৎসব দেখা যায় এ অঞ্চলে। যার কমতি নেই এ বছরও। আগামী শুক্রবার (৩০ জুন) মেয়ে বা ছেলে বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন বেশি রয়েছে।

বরিশাল সড়র উপজেলার কড়াপুর সদর ইউনিয়নে বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত মো. সোহেলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিলো। তারা বরযাত্রী হয়ে গিয়েছেন কনের বাড়িতে। সেখানে উঠানে প্যান্ডেল করে কয়েক’শ লোকের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ির দরজা থেকে মূল রাস্তা পর্যন্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে, নির্মাণ করা  হয়েছে তোরণ।

বর যাওয়ার পর গেট ধরা, শরবত খাওয়ানো, বরের পায়ের জুতা নিয়ে যাওয়া, খাবার শেষে হাত ধুয়ে দেওয়াসহ নানা প্রণয়-কলহের মধ্য দিয়ে বাড়ির ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা বায়না করছেন টাকার। এ যেন রীতির নীতি। কারণ এ আনন্দে বড়রাও ছোটদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মধ্যস্ততা করে বরপক্ষের কাছ থেকে কিছু টাকা তো এনে দিচ্ছেন।

বরের বাবা হুমায়ুন শরীফ বলেন, গ্রামগঞ্জের বিয়েতে সপ্তাহ খানেক ধরেই চলে নানান আয়োজন। আজ ছেলে বউকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বরযাত্রায় তারা এসেছেন। শুক্রবার তাদের বাড়িতে বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়েছে। কাবিনের কাজ হয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগে। তবে অনুষ্ঠান ঈদের পরে নেওয়ার কারণ সব আত্মীয়স্বজন এ সময়টাই এক হতে পারেন।  

এদিকে ঈদের পর বিয়ের ঝামেলাটা একটু বেশি, আর এবার বৃষ্টির কারণে আরেকটু বেশি পোহাতে হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ডেকরেটর ব্যবসায়ী বাচ্চু জানান, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তার হাতে ৭টি বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজ রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় তাদের একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারপর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।