তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন তিনি তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট দিয়েছেন। আমি রংপুরে যাই, গ্রামে যাই।
বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।
এরশাদ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন এটা তার সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট। কিন্তু জনগণ মনে করছে এটা নিকৃষ্ট বাজেট। তিনি এই বাজেটে যে ঘাটতি দেখিয়েছেন সেটা কি পূরণ করতে পারবেন? অবাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন। কীভাবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আগামী বছর অর্জন করবেন? এই বাজেটে বিনিয়োগ কর্মসংস্থান কত তার কোনো হিসাব উনি দেননি।
ব্যাংকিং খাতকে ক্যানসার আক্রান্ত আখ্যায়িত করে বলেন, মানি মার্কেট ক্যানসারে আক্রান্ত। ব্যাংকের অবস্থা করুণ। সীমাহীন লুটপাট। কারা এটা করল? তারা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী? তারা কি ধরা ছোঁয়ার ঊর্ধ্বে। আমরা তাদের নাম জানতে পারলাম না। ব্যাংকিং খাতে লুটপাটকারীদের নাম প্রকাশ করুন।
তিনি বলেন, শেয়ার মার্কেটকে অর্থ লুটপাটের প্রাণকেন্দ্র করা হয়েছে। এই শেয়ার মার্কেটের কারণে অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যা করেছে।
শিক্ষাখাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে এরশাদ বলেন, শিক্ষাখাতে কোচিং বাণিজ্য। প্রশ্নফাঁস সবকিছু শিক্ষাকে নষ্ট করছে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, আমরা সবাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাই। আমি সিঙ্গাপুর যাই। কারণ দেশের ডাক্তারদের ওপর আস্থা রাখতে পারি না। কেউ ডাক্তারের কাছে গেলেই বড় বড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ধরিয়ে দেয়। আর কমিশন খায়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি রংপুরে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করুন। রংপুর তো আপনারই বাড়ি। স্বামীর বাড়ি মানে নিজের বাড়ি। এটা করা হলে মানুষ খুশি হবে।
সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ বাণিজ্য চলছে দাবি করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশের কনস্টেবলে চাকরির জন্য ৫ লাখ টাকা, শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১০ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে- এটা দুঃখজনক।
সিগারেটে ১০০ ভাগ কর আরোপ করে বিড়িতে ২০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।
এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বহনকারী প্লেন খারাপ হয়ে যায়, এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিমানের দূরাবস্থা। ২৫ বছর ধরে আমি বিমানের প্লেনে উঠি না।
*** ‘আমাকে স্বৈরাচার বলা হয়, আমি ক্ষমতা নিতে চাইনি’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসএম/এসকে/এএ