বুধবার (২৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে যশোর-কলকাতা মহাসড়কের উপর এ ঘটনা ঘটে।
পাসপোর্ট যাত্রীদের উপর হামলার খবর পেয়ে চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা আকস্মিক নারী-পুরুষদের লাঠিচার্জ করছেন।
পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকার জাবেদ জানান, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সকাল ৭টায় বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে কাজ শেষে ভারতে ঢোকার উদ্দেশ্যে নোম্যান্সল্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আগে যেখানে চেকপোস্ট পার হতে আধা ঘণ্টা সময় লাগতো এখন সেখানে ৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ভারতে ঢুকতে পারছেন না। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নারী-পুরুষরা বিরক্ত হয়ে পড়েন। এসময় বিজিবির এক সৈনিক প্রবেশ গেট খুললে যাত্রীরা ভেতরে ঢুকে যান। এতে ১৫ থেকে ২০ জন বিজিবি সদস্য দৌড়ে এসে সব যাত্রীদের এলোপাতাড়ি ধাক্কা ও লাঠিচার্জ শুরু করেন।
ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী শফি বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মা-শিশুদের নিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট বিজিবি বুঝবে কি করে। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দেখা উচিত।
একজন নারী পাসপোর্ট যাত্রী জানান, বিজিবি গেট খুলেছে বলে তারা ভেতরে ঢুকেছেন। এখানে বিজিবি সদস্যদের যাত্রীদের মারধরের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
পাসপোর্ট যাত্রী জীবন জানান, বাধ্য হয়ে বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা ভারতে যান। বিজিবির এমন অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায়না। সুষ্ঠুভাবে যাতে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন সে বিষয়ে দুই দেশেরই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফ বাংলানিউজকে জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত গত কয়েক বছরে ৩ গুণ বেড়েছে। কিন্তু ভারতীয় ইমিগ্রেশন সেভাবে জনবল বাড়ায়নি। এছাড়া তাদের ধীর গতীতে পাসপোর্টের কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। বিষয়টি বার বার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এতে এসব ঝামেলা ও ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
৪৯ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আজকে যাত্রীর অনেক ভিড় ছিল। এ কারণে তাদেরকে লাইনে আনতে গিয়ে হইতো কিছু ঘটনা ঘটে পারে। তবে বিজিবি সৈনিকরা কারো উপরে লাঠিচার্জ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এজেডএইচ/জেডএস