১৯৭৯ সাল থেকে চলমান নীলফামারীর ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। ব্যারাজের দু’পাশের বিপুল জলরাশি ছাড়াও প্রকল্প এলাকার অপরূপ-নয়নাভিরাম দৃশ্য মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
ঈদের ছুটিতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, ডালিয়া ব্যারাজ এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার মতো পরিবেশ রয়েছে। এটি করা হলে এলাকার অসংখ্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ ছাড়াও তিস্তাপাড় ও চরাঞ্চলের কর্মহীন মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সরকারও প্রতি বছর পেতে পারে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও জানান, ব্যারাজ এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা কর্তৃপক্ষের রয়েছে।
পর্যটকরা জানান, ব্যারাজকে ঘিরে কৃত্রিম প্রযুক্তির মাঝেও প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্টি হয়েছে সবুজ অরণ্যের নয়নাভিরাম দৃশ্য আর পাখিদের কলরবে ভরা মনোমুগ্ধকর কোলাহলমুক্ত অপূর্ব পরিবেশ। সবুজের হাতছানি, শিহরণ জাগানিয়া বাতাস আর নেসর্গিক দৃশ্যেও মুগ্ধ হন তারা। আন্তর্জাতিক মানের লজ ‘অবসর’ ছাড়াও ডালিয়া ও দোয়ানির বাংলো দু’টিতে পর্যটনের ভালো সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণে উঁচু কন্ট্রোল টাওয়ার, সুইচ খালের পানি থেকে বালি নিষ্কাশনের সিলট্রাপ, নদীর ডান তীর বাঁধে নির্মিত স্পারসহ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ সুসজ্জিত ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ মন টানে সারা বছরই।
তবে ব্যারাজ এলাকায় টয়লেট, পানীয় জল ও ছাউনিসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এএসআর