বুধবার (২৮ জুন) সচিবালয়ে ঈদযাত্রা পর্যালোচনা সভা শেষে মন্ত্রী এ দাবি করে বলেন, এবারের ঈদযাত্রা নিকট অতীতের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক যাত্রা এবং গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই রাস্তাঘাট, সড়ক-মহাসড়ক তুলনামূলক ভালো ছিলো।
রেলযাত্রা, নৌপথের যাত্রাও স্বস্তিদায়ক ছিলো, তিনটি পরিবহনেই স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রার সময় বৃষ্টি-বাদল না থাকায় আমরা আল্লাহর তরফে অনেক ফেভার পেয়েছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম, সড়ক ও জনপথের ইঞ্জিনিয়াররা রাস্তায় ছিলেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের ছুটি বাতিল করেছিলাম। তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থে তা হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন।
ঈদের সময় চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া কল্পনাও করা যায় না, মন্তব্য করেন কাদের।
রংপুরে ট্রাকে করে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণহাণির ঘটনায় মন্ত্রী বলেন, তারা গরিব মানুষ, অল্প পয়সায় উঠেছিল। এদের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি তখনই খোঁজ-খবর নিয়েছি। জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছি যাতে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক কিছু সাহায্যও করা হয়েছে।
এবার ঈদে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হারও কম ছিলো দাবি করে কাদের বলেন, গতবারের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হারও ছিলো অনেক কম।
ঈদে রাস্তায় থাকার অঙ্গীকার স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলন, আমি কথা রেখেছি। আমি ঈদের দিন আপনজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাঙামাটি চলে গেছি। এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ধরে নিতে হবে বৃষ্টি হবে। এটা ভেবেই রাস্তা ব্যবহারযোগ্য রাখতে হবে, কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক এবং অধীনস্ত সংস্থা প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস