ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রহ্মপুত্র পাড়ে উৎসবের আমেজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
ব্রহ্মপুত্র পাড়ে উৎসবের আমেজ ব্রহ্মপুত্র পাড়ে উৎসবের আমেজ/ছবি: অনিক খান

ময়মনসিংহ: ইট-পাথরে বন্দি নাগরিক জীবনে প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে ঈদের ছুটিতে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ব্রহ্মপুত্রের পাড়। ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যান আর বিপিন পার্কের মতো ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে ওঠা বালুচরও ভ্রমণপিপাসুদের আরেক ঠিকানা।

রোদের দাপট কমে এলেই বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে সবাই ছুটে আসেন এখানে। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে নির্মল আনন্দের পরশ পেতে সবুজ দুর্বা ঘাসে বসে আড্ডা চলে ফুরফুরে মেজাজে।

চটপটি, ফুচকাসহ হরেক রকমের খাবারে মেতে ওঠেন উৎসবের আমেজে।

ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন নাগরিকদের চিত্তবিনোদনের জন্য নির্মিত জয়নুল উদ্যান ও বিপিন পার্কে ছিল মানুষের ঢল। উপচেপড়া ভিড়ে কোথাও ছিল না দাঁড়ানোর জায়গা। ফলে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের পদচারণা। ব্রহ্মপুত্রের বুক থেকে বিনোদন পিয়াসীদের এমন লোকারণ্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে।

এসব চরের সৌন্দর্য উপভোগে রাত ৮টা অবধি থাকে মানুষের কোলাহল। বিনোদন পিয়াসী মানুষের স্রোত ছড়িয়ে পড়ে পার্কের ওপারের চরেও। ব্রহ্মপুত্র নদের উপকণ্ঠে শত বছরের প্রাচীন সাহেব কোয়ার্টার পার্ক আধুনিকায়ন করা হয়েছে। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে জয়নুল উদ্যান। এখানে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ও বৈশাখী মঞ্চ।

বুধবার (২৮ জুন) ঈদের ছুটি শেষ হলেও অনেকেই স্ব পরিবারে এ উদ্যানে ঘুরতে আসেন। উদ্যানের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির পাশাপাশি রয়েছে চিড়িয়াখানা। নান্দনিক সৌন্দর্যের ফোয়ারা, ব্যায়ামাগার আর শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে স্পেশাল রাইড।

ভেতরের স্টিলের পাইপের সীমানা প্রাচীর, পাকা স্ল্যাপের হাঁটার পথ, ফুলের বাগান, কৃত্তিম ঝরনা। শিশুদের জন্য এখানে আছে চিড়িয়াখানাও। ভবিষ্যত প্রজন্মকে নানান প্রজাতির পশু-পাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বাবা-মায়েরা ঢু মারছেন এ চিড়িয়াখানায়।

স্বপরিবারে জয়নুল উদ্যানে ঘুরে বেড়ানোর পর নগরীর হিমু আড্ডা রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রের চরে পছন্দের এ জায়গায় এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আর চরে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। আর জয়নুল উদ্যানে রয়েছে প্রকৃতির বিশালতা।

খানিক দূরেই দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করছিলেন কয়েকজন তরুণী। তাদেরই একজন সাবিহা আলম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে এলে মনটা ভালো হয়ে যায়। নির্মল বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নেওয়া যায়।

সব বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল নগরীর কংগ্রেস জুবলী রোডের বিপিন পার্কও। এ পার্কের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্রের ঢেউ উচ্ছ্বসিত করছে তাদের। ইদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে সবাই ছুটে আসছেন এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমএএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।