ঈদ-উল-ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার রাত থেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। এজন্য সড়কে যাত্রীর চাপও বেশি।
সিএনজিচালিত অটোরিক্সাচালক আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমি কাল রাতে গ্যাস ভরে রেখেছিলাম। কিন্তু এই গ্যাসে দুপুর দেড়টা/দুইটার পর আর গাড়ি চালানো যাবে না। গ্যাসটা যদি আর একদিন আগে বন্ধ করতো তাহলে এতোটা ঝামেলায় পড়তে হতো না। ’’
এদিকে গ্যাস বন্ধ থাকায় সিএনজিচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে আলম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘‘আমি পরিবারপরিজন নিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে মুগদা হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। ভাড়া পাঁচ’শ টাকা দিতে হয়েছে। ’’
বেশি ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চালক বলেন, ‘‘যে গ্যাস আছে তাতে আমি ১৫’শ টাকার ভাড়া মারতে পারবো। মালিককে দিতে হয় দিনে ৯৫০ টাকা। এর বাইরে আছে নানান রকমের চাঁদা, টোল আর নিজের খাওয়া। সব মিলিয়ে আজকে এইটুকু বেশি নিচ্ছি। ’’
কাজী নজরুল ইসলাম এভিনউ’র সিএনজি স্টেশন শাহজাহান এন্টারপ্রাইজেস-র ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন,‘‘তিতাসের নির্দেশে বন্ধ রেখেছি। অনেকে গ্যাস নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। ’’
তিনি আরো বলেন,‘‘ব্যবসায় একটু ক্ষতি হলেও কিছু করার নেই। কোম্পানির টেকনিক্যাল সমস্যা ঠিক করছে বলে শুনেছি। ’
এর আগে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অধীনে থাকা সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসআইজে/জেএম