ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিখোঁজ ল্যান্স নায়েকের মরদেহ উদ্ধার

খোরশেদ আলম সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
নিখোঁজ ল্যান্স নায়েকের মরদেহ উদ্ধার নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক উদ্ধারে তিস্তা ব্যারেজে জাল

লালমনিরহাট: চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার মরদেহ তিস্তা ব্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে তার সন্ধানে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোহানী তিস্তা ব্যারেজে জাল পাতা হয়।

 

সোমবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ২টার দিকে একদল গরু পাচারকারীকে ধরতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নং পিলার এলাকায় নিখোঁজ হন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।

নিখোঁজ সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি ৬১ বিজিবি-তে কর্মরত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত রয়েছেন। তার বডি নং ৭৬২৪১।

তার সন্ধানে ওই রাতেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা চাওয়া হলে তারা একটি স্পিডবোটের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চালান।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে বিএসএফ আরও ২টি এবং বিজিবি'র ৩টি স্পিডবোটের মোট ৬টি দল এবং ফায়ার সার্ভিসের পাটগ্রাম ও রংপুর দুই ইউনিটের আট সদস্যের ডুবুরী দল দিনভর তিস্তা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। সন্ধ্যার পর অভিযান অসমাপ্ত রেখে স্থগিত করা হয়। বুধবার সকালে পুনরায় শুরু করা হয়।

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া গত ১৫ দিন আগে কক্সবাজার থেকে পদোন্নতি নিয়ে দহগ্রামে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে যোগদান করেন।

মঙ্গলবারের উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন বিজিবি রংপুর অঞ্চলের রিজিওনাল কমান্ডার এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাঈফ, বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ, রংপুর ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক মেজর মুহিত।

বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।

দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টহল দল সোমবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ২টার দিকে গরু পাচারকারীদের ধরতে তিস্তা নদীর চরে অভিযান চালান। এসময় আবুলের চর ৬/৩ এস সীমানা পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া। এরপর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭/আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।