তবে এবারের ঈদযাত্রা হয়েছে অনেকটাই ব্যতিক্রম। ঈদের আগে তুলনামূলকভাবে খুব একটা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
ঈদের আগের দিন থেকে এখন পর্যন্ত যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও প্রয়োজনীয় যানবাহন না পেয়ে অল্প অল্প যানবাহন নিয়েই ফেরিগুলো নৌরুট পারপার হচ্ছে বলে জানান ঘাট সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট সংশ্লিষ্টরা বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ের সহাকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ফিরতি যাত্রার এখনও চাপ পড়েনি। ঈদের পর দিন সোমবার (২৭ জুন) দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে রাজধানীমুখী আনুমানিক ১৫শ’ যানবাহন নৌরুট পার হয়েছে। যেখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৫শ’ থেকে তিন হাজার গাড়ি এই নৌরুট পারাপার হয়।
তবে দুপুরের পর থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীদের বাড়তি যানবাহনের কিছুটা চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়তি এসব যানবাহনের চাপ সামাল দিতে নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। উভয় ঘাটের পন্টুনগুলোও স্বাভাবিক রয়েছে। সুতরাং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাজধানীমুখী মানুষের বাড়তি চাপ সামাল দিতে তেমন একটা ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, অন্যান্য সময়ে ঈদের দিনও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাড়তি যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকে। তবে এবার ঈদের আগের দিন থেকেই পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। ঈদের আগের দিন বিকেল থেকে অনেকটাই গাড়ির অপেক্ষায় প্রহর গুণছে ফেরিগুলো। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না হলে ঈদে ঘরফেরা রাজধানীমুখো মানুষের তেমন কোনো ভোগান্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমজেএফ/