ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেহেরপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে সন্ধানী 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
মেহেরপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে সন্ধানী  সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন-ছবি-বাংলানিউজ

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালন করছে সন্ধানী সংস্থা। 

পল্লী এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও চিকি‍ৎসাসেবা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রফেসর ড. মো. মোখলেছুর রহমান। সেই থেকে এলাকার মানুষকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।

 

বর্তমানে সংস্থার নিজস্ব ১৭ বিঘা জমিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি হাসপাতাল ও একটি নার্সিং ইনিস্টিটিউট (আবেদনকৃত) রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই সন্ধানী সংস্থার নামে পরিচালিত হচ্ছে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, মসজিদ, সেলস্‌ সেন্টারসহ বিনোদন মঞ্চ। রয়েছে নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাব ও ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সকল উপকরণও।  

সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন-ছবি-বাংলানিউজবিগত বছরগুলোর সকল পাবলিক পরীক্ষায়ই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে সন্ধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রায় প্রতি বছরই শতভাগ পাস করায় অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে সেগুলো। বিভিন্ন খেলাধুলা, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়ও উপজেলা ও জেলা এবং জেলার বাইরে ও জাতীয় পর্যায়েও সাফল্য ধরে রেখেছে।  

এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে ‘সন্ধানী হাসপাতাল’। অর্থের অভাবে যেন কোনো রোগী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য সংস্থার নিজস্ব তহবিলও রয়েছে।

সন্ধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাগর আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলে, ‘এ স্কুলের লেখা-পড়ার মান অনেক ভালো, রয়েছে বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থাও। শিক্ষকরাও আমাদের সব ধরনের সাহায্য করেন’।  

অভিভাবক রাকিব হোসেন বলেন, ‘সন্ধানীর স্কুলে সন্তানদের পড়াশোনা করতে দিয়ে আমরা অভিভাবকরা স্বস্তিতে থাকি। কারণ, এখানে ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এখানকার ফলাফলও জেলার মধ্যে শীর্ষে’।  

সন্ধানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে আমরা পরীক্ষার ভালো ফলাফল ও খেলাধুলায় জেলার শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছি। আমরা ছেলে-মেয়েদের শরীর চর্চা বাধ্যতামূলক করেছি। এজন্য আমাদের বাড়তি ক্লাসও রয়েছে’।  

সন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুহা. আবু জাফর-ছবি-বাংলানিউজসন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুহা. আবু জাফর বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজন। এজন্য সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল করেছি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ ও ছাগল পালনের ব্যবস্থা করেছি’।

‘এখানকার জনগোষ্ঠী এমন একটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অর্জন করবে, যা তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জীবন যাপনে সহায়তা করবে- এটিই আমাদের প্রত্যাশা’।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এএসআর
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ