ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে অনেকেই এসেছেন এখানে। কেউ পরিবারকে নিয়ে, কেউবা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে।
কিন্তু এই উচ্ছ্বাসে বাধ সাধতে দেখা যায় মাদক সেবনকারীদের। পার্কের ভেতরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্সে বসে এসব বখাটেরা মাদক সেবন করেন। দর্শনার্থীদের কেউ যুগলবন্দি হলে অথবা একলা হলে হাঁটাহাঁটির সময় এই মাদকসেবীদের অবাঞ্ছিত ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয় নারী দর্শনার্থীদের।
অভিযোগ আছে আবার মাজারে আসা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মসূচির ভিড়ে আসা গুটিকয় বখাটের বিরুদ্ধেও।
এমন অভিযোগকারী কয়েকজন বলেন, বখাটেদের অশোভন আচরণের প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকি-ধামকি শিকার হতে।
এ নিয়ে আলাপ করলে ভুক্তভোগী উদ্যানে মাজার বা সমাধি রাখার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার ক্যাম্পাস ও বাসা দু’টোই আসাদগেট হওয়ায় আমি প্রায়ই এখানে আসি হাটতে। ঈদের দিন এসেছিলাম কয়েকজন বন্ধু মিলে। তার মধ্যে আমাদের একজন মেয়ে বন্ধু ছিলো। কিন্তু সেসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জিয়ার মাজার থেকে বের হয়। তাদের মধ্যে থাকা কিছু বখাটে বাজে সব ইঙ্গিত করলো। আমরা কিছুই বলতে পারলাম না।
তানভীরের বক্তব্য, একটি বিনোদন পার্কে সব দল-মতের মানুষই আসবে। কিন্তু সেখানে কোনো নির্দিষ্ট দলের নেতার মাজার থাকলে বখাটেদের উৎপাততো হবেই। এ বিষয়টিতে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
বিনোদন কেন্দ্রে মাজার বা সমাধি রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ী টিটু মোল্লাও।
তিনি বলেন, ভিড়ের মধ্যে বখাটে থাকা স্বাভাবিক বিষয়। কোনো দলের কর্মসূচিতে ভিড়ে আসা বখাটেরা যে উৎপাতের সৃষ্টি করে তার সমাধানে মূল সমস্যাটা চিহ্নিত করতে হবে।
টিটু-তানভীরা বখাটেদের এই উৎপাত বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি উদ্যান সংশ্লিষ্টদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
ইউএম/এইচএ/