ঈদুল ফিতরের পরের দিন মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল ৪টা থেকেই বরিশাল নদী বন্দরে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
যার ফলে বলা চলে শুরু হয়ে গেছে রাজধানীমুখো মানুষের ফিরে যাওয়ার যুদ্ধ।
যদিও বন্দরঘুরে আজ তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি মানুষের। ফলে কিছুটা স্বস্তিতেই ঢাকায় যেতে পারছেন তারা।
এদিকে ঈদের পরের দিন হলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দর এলাকা ও টার্মিনাল এলাকায়, আনসার, বিআইডব্লিউটিএ প্রশাসন, কোষ্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, মেট্রোপলিটন পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, সাদাপোশাকধারী পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
নৌ-বন্দর ঘিরে রাজধানীমুখো মানুষের চাপ না থাকায় আজ বন্দর এলাকায় কিছু সংখ্যক রিকশা-অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ বাড়লে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা সরকার মিঠু জানান, আজ কিছু মানুষ ঢাকায় যাচ্ছেন, তবে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তারপরও ৫/৬টি লঞ্চ রাতে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করবে।
এদিকে ঢাকাগামী পারাবত-৯ লঞ্চের যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, ঢাকায় ছোট একটা ব্যবসা রয়েছে। প্রায় তিনদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ। কিন্তু ওই ব্যবসা দিয়েই তার পরিবার চলে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে বাধ্য হয়েই আগে ভাগে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। কাল দোকান খুলে বসতেই হবে।
লঞ্চ যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, যাত্রীর চাপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে। তাছাড়া অফিসও খুলে যাচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভিড়ের মধ্যে যাওয়ার পক্ষে না থাকায় একটু আগে ভাগেই চলে যাচ্ছেন।
এদিকে সুন্দরবন লঞ্চের ম্যানেজার জাকির হোসেন জানান, আজ বরিশাল ঘাট থেকে ৬টি লঞ্চ ঢাকা যাচ্ছে, পাশাপাশি ভায়া ২টি লঞ্চও বরিশাল ঘাট হয়ে ঢাকা যাবে। যাত্রীর চাপ আজ না থাকলেও কাল থেকে বাড়বে। তবে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বেসরকারি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
অপরদিকে বিআইডব্লিউটিসি’র ১টি জাহাজ সরাসরি বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যায় রওয়ানা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এমএস/বিএস