ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত- ছবি: বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) অন্ধকার নামায় সন্ধ্যা ৬টায় ৪৫মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

বিজিবি লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যা হওয়ায় বিজিবি, বিএসএফ  ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের যৌথ উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুন) সকালে পুনরায় একই টিম উদ্ধার অভিযানে নামবে।  

এর আগে সোমবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নং পিলার এলাকায় নিখোঁজ হন ল্যান্স নায়েক  সুমন মিয়া।

এর আগে ওই রাতে একদল গরু পাচারকারীকে ধরতে ৪ সদস্যের একটি দল নিয়ে ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে পড়েন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। চোরাকারবারীদের তারা করতে গিয়ে আবুলের চর এলাকায় তিস্তার পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজ সুমনের বডি ৭৬২৪১।

তার সন্ধানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৩টি ও বিজিবি ৩ টি স্প্রিডবোটে ৬টি দল তিস্তা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি ডুব‍ুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। দহগ্রামের আবুলের চর থেকে ৫টি স্প্রিডবোট ভাটির দিকে যাচ্ছে। অপর দিকে তিস্তা ব্যারাজ থেকে অপর একটি বিজিবি'র স্প্রিডবোট উজানের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

তিস্তায় ক্যামেরা দিয়ে তার সন্ধান করতে বিমান বাহিনীর কাছে একটি হেলিকপ্টার চেয়েছে বিজিবি। তবে পানি ঘোলা হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া গত ১৫ দিন আগে কক্সবাজার থেকে পদন্নতি পেয়ে দহগ্রামে যোগদান করেন। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি চালু রয়েছে বলে স্থানীয়দের সন্দেহ চোরাকারবারীরা তাকে অপহরণ করতে পারে। তবে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, সুমনের ব্যবহৃত মোবাইলটি ক্যাম্পে রয়েছে।

বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর অঞ্চলের রিজিওনাল কমান্ডার এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাঈফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষণ করছেন।

সুমনের নিখোঁজ ঘটনাস্থলের পয়েন্টে রয়েছেন বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ। তিস্তা ব্যারাজে রয়েছেন রংপুর ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক মেজর মুহিত।

নিখোঁজ সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি ৬১ বিজিবি'তে কর্মরত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত রয়েছেন।

বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে তিস্তা নদী মনিটরিং করা হবে। ইতোমধ্যে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয়রাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। তবে তিস্তায় প্রবল স্রোতের কারণে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান সফল হয়নি। পুরো তিস্তা নদী মনিটরিং করতে বিমান বাহিনীর কাছ থেকে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তিস্তার পানি ঘোলাটে হওয়ায় ক্যামারা কাজ করবে না। তাই হেলিকপ্টার নেয়া হচ্ছে না।

দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টহল দল গরু পাচারকারীদের ধরতে তিস্তা নদীর চরে অভিযান চালান। এ সময় আবুলের চর ৬/৩ এস সীমানা পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া। এরপর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

**৯ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ল্যান্স নায়েক সুমনের

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।