ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অ তে অজগর, অজগরে মহানন্দ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
অ তে অজগর, অজগরে মহানন্দ চিড়িয়াখানায় সাপের খাঁচার সামনে বাচ্চাদের ভিড়-ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদের ছুটিতে অন্যসব বিনোদন কেন্দ্রের চেয়ে চিড়িয়াখানায় ভিড় একটু বেশিই। কেননা, পশু পাখির প্রতি মানুষের প্রেম অনেক প্রাচীন‍কাল থেকেই। এখানে দেখা মিলছে অনেক আদেখা প্রাণীর। বিশেষ করে বাঘ, জিরাফ, হরিণ, বিভিন্ন প্রকার পাখি ও বানর ইত্যাদির প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি। তবে সাপের প্রতিও যে এতো আগ্রহ তা বোঝা গেল কিছুটা ঘোরাঘুরির পর।

যে প্রাণীগুলো কেবল টিভিতে দেখতে অভ্যস্ত নগরবাসী, সেগুলোই স্বচক্ষে দেখতে পাওয়ার ম‍াঝে একটা আনন্দ আছে। তার চেয়ে বড় কথা ছোটদের দেখাতে নিয়ে যাওয়ার মাঝেও আরেকটা উদ্দীপনা কাজ করে।

আর এজন্যই চিড়িয়াখানায় এতো ভিড় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি খাঁচার সামনেই উপচে পড়া ভিড়। তবে কিছু কিছু খাঁচার সামনে থেকে দর্শনার্থী সরতেই চান না। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে বানর, বাঘ আর সাপের খাঁচা। বিশেষ করে অ তে অজগর, এমনটি পড়ে বড় হওয়া বড়রা কিংবা ধারণা পাওয়া শিশুরা খুবই উৎসুক।
 
গোখরাসহ অন্য বিষধর সাপের কাঁচ‍ ঘেরা খাঁচার সামনে দিয়ে ঘুরে অজগরের খাঁচার সামনে যেতেই আটকে যাচ্ছে চোখ দর্শনার্থীদের। কেননা, শরীরে শরীর পেঁচিয়ে অজগর ঝিমাচ্ছে। একটু উঁকি ঝুকি মেরেই দেখতে হচ্ছে। দর্শানার্থী শিশুরা দেখতে পাওয়া মাত্রই উল্লাস করছে-ওই যে বাবা অজগর, এই বলে। সঙ্গে সঙ্গে বাবার মুখটিও উজ্জ্বল হয়ে ওঠছে। ফলে প্রচণ্ড ভিড়ে লাইনে দাঁড়ানো আর যানজটের কষ্টটা যেন এখানেই উবে যাচ্ছে।
 
এদিকে মাঝে মধ্যে চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা অজগরের খাঁচায় ঢুকে লেজ ধরে টান দিয়ে একটু সজাগ করে দিচ্ছে। আর এতেই নড়েচড়ে একটু সেদিক সেদিক যাচ্ছে। তাই দেখে অ্যাডভেঞ্চার অনুভব করছে সকলে। মোট কথা, সাপ দেখার আনন্দটা যে গেঁথে যাচ্ছে সবার মনে, এটা দর্শনার্থীদের চোখ মুখ দেখেই বোঝা যায়।

বাংলাদেশের যে অজগর চিড়িয়াখানায় রাখা আছে, এটির নাম ইন্ডিয়ান পাইথন। এরা রাতে শিকারে বের হয়। প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশ এদের খাবার। এছাড়া একদিনের মুরগীর বাচ্চাও এরা খায়। শীতকালে বাইরে বেরোয় না, শীতনিদ্রায় যায়।
 
টুম্পা মনি তার বাবা টিটু আহমদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে। চতুর্থ শ্রেণির এ শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে তার প্রতিক্রিয়া দেয় এভাবে-‘আঙ্কেল, অনেক মজা। বইতে পড়েছি, টিভিতে দেখেছি। এবার সত্যি সত্যি দেখলাম। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
ইইউডি/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।