মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে মোলহেডে গিয়ে দেখা গেছে, তরুণদের আনন্দ উল্লাস। মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলারে সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে নাচে-গানে মেতে উঠেছে তরুণরা।
যাত্রীবাহী ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের চালক আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, উৎসবের সময় নদীতে ঘোরার জন্য ঘণ্টা প্রতি ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা। আর অন্য সময় প্রতি ঘণ্টা ৩শ’ টাকা। আর স্পিডবোটে প্রতি ঘণ্টা ৬শ’ টাকা। উৎসবের সময় ভাড়া দ্বিগুণ নেয়া হয়। চাঁদপুরে বিনোদনের জন্য নির্ধারিত স্থান খুবই কম। তবে জেলাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ব্যবসায়ীরা কাজ শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকা থেকে খুব সহজেই লঞ্চে করে ত্রিমোহনীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরতে আসতে পারবেন। রাতে থাকার জন্য রয়েছে ডিসির বাংলোর সামনেই থ্রি স্টার হোটেল গ্রেন্ড অব হিলশা। এছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসিক হোটেল রয়েছে। চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা থেকে ট্রেনে এবং সিলেটসহ আশপাশের জেলা থেকে বাসে করে চাঁদপুরে সহজেই আসা যায়। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ত্রিমোহনীর সৌন্দর্য দেখতে হলে সূর্য অস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর রাতের বেলায় চাঁদের আলো থাকলে ডাকাতিয়া নদীতে প্রিয়জনদের নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো সে অন্যরকম অনুভূতি। আর একই সঙ্গে তাজা ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন বর্ষা মৌসুমে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ত্রিমোহনী খুবই চমৎকার একটি স্থান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
আরবি/