অথচ ঈদের আগে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ইফতারি পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকার গহনা বিক্রি হতো দৈনিক। কিন্তু এখন একেবারেই ব্যবসা নেই।
সকাল থেকে মাত্র ২০ টাকার গহনা বিক্রি হয়েছে জানিয়ে আমির হোসেন নিজেকে ‘আপাতত বেকার’ বলেও পরিচয় দেন।
৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে লালবাগের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তিনি। এই পার্কের সামনের অস্থায়ী দোকানটাতে তিনি ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দামের বিভিন্ন ডিজাইনের চুরি, কানের দুল ও আংটি বিক্রি করেন।
একইভাবে বেচা-বিক্রি না থাকায় অলস সময় পার করছেন ফুটপাতের বেল্ট বিক্রেতা মান্নান (২৬)। মা-বাবা, স্ত্রী এবং সাত ভাইবোন নিয়ে ১০ সদস্যের পরিবার তার। থাকেন মগবাজারের একটি ভাড়া বাড়িতে।
মান্নান জানান, তার অবস্থা আরও খারাপ। ঈদের আগে দিনে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি হলেও এখন একেবারেই বিক্রি নেই। এদিন সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত একটা বেল্টও বিক্রি করতে পারেননি তিনি।
রাজধানীর বিভিন্ন ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দামের বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের ও চামড়ার বেল্ট বিক্রি করেন তিনি।
ঈদের পরের দিন বিশ্রাম না নিয়ে কেন বিক্রি করতে হবে জানতে চাইলে মান্নান বলেন, ঈদ বলে বসে থাকলে তো চলে না। এত বড় সংসারের খরচ কম না। আব্বা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ড পোস্টে চাকরি করেন। তার মাত্র ৬ হাজার টাকার বেতনে সংসার চলে না।
বাবাকে সহযোগিতা করতে ৪র্থ শ্রেণিতে থাকতে পড়া-লেখা ছেড়ে ৯ বছর বয়সেই হকারি শুরু করেন মান্নান।
কেবল মান্নান বা আমির হোসেনই নন। ঢাকার ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পল্টন, মতিঝিলসহ বিভিন্ন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের বিক্রি না থাকায় একইভাবে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এসআইজে/এইচএ/