মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে শহরের বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, প্রত্যকে আড়তের সামনেই ইলিশের স্তুপ। এসব ইলিশ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে বেশি।
মেসার্স মিজানুর রহমান কালু আড়তের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রমজান মাস জুড়ে ইলিশ আমদানি হয়েছে খুবই কম। পদ্মা-মেঘনার ছোট সাইজের ইলিশ মাঝে মধ্যে আমদানি হতো। হঠাৎ করে সকাল ১০টা থেকে বড়-ছোট সাইজের ইলিশ আমদানি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বড় ধরনের ৫০ আড়তে প্রায় ২শ’ মন ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এসব ইলিশ বিক্রির জন্য রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে বক্স করে পাঠানো হবে। এছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে খুচরা বিক্রিতারা তাদের চাহিদা মতো ইলিশ কিনছেন।
আরেক ব্যবসায়ী মো. জয়নাল বাংলানিউজকে বলেন, যেভাবে ইলিশ আমদানি শুরু হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা কয়েকদিন থাকলে ইলিশের দাম কিছুটা কমবে। আজকের বাজারে দুই কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ৭শ’ থেকে আড়াই হাজার। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা, ১ কেজি ২শ’ থেকে ৩শ’ গ্রামের ইলিশ ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, ৮শ’ গ্রামের ইলিশ ৯শ’ টাকা, ৬শ’ গ্রামের ইলিশ ৭৫০ টাকা, ৪শ’-৫শ’ গ্রামের ইলিশ ৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর বর্ষার শুরুতেই ইলিশের আমদানি বাড়ে। জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি সফল বাস্তবায়ন হওয়ার কারণে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
আরবি/