ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৯ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ল্যান্স নায়েক সুমনের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
৯ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি ল্যান্স নায়েক সুমনের ৯ ঘণ্টাও খোঁজ মেলেনি ল্যান্স নায়েক সুমনের

লালমনিরহাট: নয় ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর-৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সোমবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ২টায় পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নং পিলার এলাকায় নিখোঁজ হন তিনি।

সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

তিনি ৬১ বিজিবি-তে কর্মরত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত ছিলেন।

সুমনের সন্ধানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তিনটি ও বিজিবি তিনটি স্পিডবোটে মোট ছয়টি দল তিস্তা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে, রংপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। দহগ্রামের আবুলের চর থেকে পাঁচটি স্পিডবোট ভাটির দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, তিস্তা ব্যারাজ থেকে বিজিবি’র অন্য একটি স্পিডবোট উজানের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

৯ ঘণ্টাও খোঁজ মেলেনি ল্যান্স নায়েক সুমনের

তিস্তায় ক্যামেরা দিয়ে তার সন্ধান করতে বিমান বাহিনীর কাছে একটি হেলিকপ্টার চেয়েছে বিজিবি। তবে পানি ঘোলা হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার রাতে একদল গরু পাচারকারীকে ধরতে চার সদস্যের একটি দল নিয়ে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে পড়েন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। চোরাকারবারীদের তাড়া করতে গিয়ে আবুলের চর এলাকায় তিস্তার পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন সুমন। নিখোঁজ সুমনের বডি নম্বর ৭৬২৪১।

ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া ১৫ দিন আগে কক্সবাজার থেকে পদন্নতি নিয়ে দহগ্রামে যোগদান করেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল চালু রয়েছে বলে স্থানীয়দের সন্দেহ, চোরাকারবারীরা তাকে অপহরণ করতে পারেন।

তবে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, সুমনের ব্যবহৃত মোবাইলটি ক্যাম্পে রয়েছে।

বিজিবি রংপুর অঞ্চলের রিজিওনাল কমান্ডার এ কে এম সাইফুল ইসলাম সাঈফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষণ করছেন।

সুমনের নিখোঁজ হওয়া ঘটনাস্থলের পয়েন্টে রয়েছেন বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ। তিস্তা ব্যারাজে রয়েছেন রংপুর ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক মেজর মুহিত।

বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে তিস্তা নদী মনিটরিং করা হবে। ইতোমধ্যে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয়রাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তবে তিস্তায় প্রবল স্রোতের কারণে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান সফল হয়নি।

**ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজে হেলিকপ্টার

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এনটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।