এরইমধ্যে তার সন্ধানে তিস্তায় বিজিবির ৩টি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৩টি স্পিডবোট ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল কাজ করছে। স্থানীয় শতাধিক মানুষও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন।
সোমবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আবুলের চর সীমান্তের ৬/৩ এস নং পিলার এলাকায় নিখোঁজ হন ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া।
ঘটনাস্থল থেকে তিস্তা নদীর ভাটিতে বিভিন্ন স্থানেই চলছে অভিযান। তিস্তাকে কয়েকটি পয়েন্টে ভাগ করে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে রয়েছেন বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিব) রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ। তিস্তা ব্যারেজে রয়েছেন রংপুর ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক মেজর মুহিত।
নিখোঁজ সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি ৬১ বিজিবিতে কর্মরত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত রয়েছেন।
বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল গোলাম মোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে তিস্তা নদী মনিটরিং করা হবে। এরইমধ্যে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয়রাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তবে তিস্তায় প্রবল স্রোতের কারণে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান সফল হয়নি। পুরো তিস্তা মনিটরিং করতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার রওনা দিয়েছে।
দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টহল দল গরু পাচারকারীদের ধরতে তিস্তা নদীর চরে অভিযান চালান। এ সময় আবুলের চর ৬/৩ এস সীমানা পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া। এরপর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
তিস্তায় নিখোঁজ দহগ্রাম বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
জেডএস