ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে ১২ হাজার মানুষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে ১২ হাজার মানুষ ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে ১২ হাজার মানুষ, ছবি: বাংলানিউজ

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের আটটি গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে গোয়ালন্দ-ফরিদপুর বেড়িবাঁধের খাল। খালটির ওপরে একটি বাঁশের সাঁকো থাকলেও ব্রিজের অভাবে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামগুলোর প্রায় ১২ হাজার মানুষকে।  

সরেজমিনে জানা গেছে, উজানচর ইউনিয়নের শাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া, দুদু খান পাড়া, জইনুদ্দিন সরদার পাড়া, দরাপের ডাঙ্গা, নাছের মাতুব্বর পাড়া, মঙ্গলপুর, গফুর মাতুব্বর পাড়া ও ছাহের মণ্ডল পাড়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতের মূল অবলম্বন বাঁশের সাঁকোটি। শাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজারে সংযোগ স্থাপনকারী সাঁকোটি পার হয়েই বাজার-সদাই ও উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে যান তারা।

অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়াসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় এটি দিয়েই।  

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন ফকীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন থেকে আনন্দবাজার কাছে। প্রায় ১২ হাজার মানুষকে বাজার-সদাই থেকে শুরু করে দুধ ও ফসলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে যেতে হয় ওই বাজারে। আগে খেয়া দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হতাম আমরা। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত বছর লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ এ সাঁকোটি নির্মাণ করি’।  

‘এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ব্রিজটি নির্মাণ করতে পারছে না তারা’।  

সাহাজদ্দিন মাতুব্বর পাড়ার হারুন-অর-রশিদ মীর, কোবাত শেখ, আব্দুল মান্নান মীর, আফছার উদ্দিন শেখ, রহমত আলী খাঁ, সামজদ্দিন শেখ ও কিয়ামুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের আটটি গ্রামের মানুষের জন্য আনন্দবাজার হয়ে ফরিদপুর শহরে যাওয়াও অনেক সহজ, দূরত্বও কম। কিন্তু সাঁকো পাড়ি দিয়ে যাওয়ায় অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতেও অনেক সমস্যা হয়। এখানে ব্রিজ হলে আধা ঘণ্টায় রোগী নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হবে। জামতলার হাট, মমিন খাঁর হাট ও গোয়ালন্দ বাজারে যাতায়াতও অনেক সহজ হবে’।
 
তারা আরও বলেন, ‘স্থানীয় স্কুল ও মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ সাঁকো দিয়ে কষ্ট করে যাতায়াত করে। আমাদের প্রাণের দাবি, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক’।  

এলজিইডি’র গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি গত এক মাস আগে এ উপজেলায় যোগ দিয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো’।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad