তরুণ-তরুণীরা ঈদের নামাজের পর বেরুলেও তাদের বিক্ষিপ্তভাবে দিনভর ঘুরতে দেখা যায়। তবে বিকেলের দিকে বাড়তে থাকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রমনা পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, সব বয়সী রাজধানীবাসীই বেরিয়েছেন একটু হাওয়া গায়ে লাগাতে। পরিবার নিয়ে একটু ফুসকা বা আইসক্রিম খাওয়াটাই যেন মূল অনুষঙ্গ।
তরুণ-তরুণীদের দেখা গেছে দল বেধে ঘুরে বেড়াতে। কোনো কোনো দল আবার উদ্যানে বা পার্কের মাঠে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেছে।
আষাঢ়ে আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় পরিবেশটা ছিল ফুরফুরে। মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হলেও কাউকে বিরক্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়নি। বরং অপেক্ষাকৃত শীতল বাতাসে জমেছে ঈদের ঘোরাঘুরি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে সবচেয়ে বেশি সমাগম হয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর প্রাঙ্গণে। এখানে কথা হয় ফারজানা রসিদের সঙ্গে। মা-মেয়ে মিলে ঘুরতে এসেছেন মগবাজার থেকে। বাংলানিউজকে বলেন, এ জায়গাটা ভালো লাগে। তাই প্রতি বছরই ঘুরতে আসি।
এদিকে লোকসমাগমে পোয়াবারো আইসক্রিম, চটপটি বিক্রেতাদের। রমনা পার্কে গেটে আইসক্রিম বিক্রি করছিলেন তোঁতা মিয়া। হাসতে হাসতে জানালেন, আইসক্রিম বিক্রি করাই তার পেশা। রমজানে রোজগার তেমন হয়নি। ঈদ তার জন্য ব্যাপক খুশিই এনে দিয়েছে। বলেন, সারাদিনে ৫ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দীর গেটে ফুসকা বিক্রেতা আসলাম আলী বলেন, বিকেল থেকে ৪ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছে তার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস