এ উপলক্ষে সোমবার (২৬ জুন) মাঠে-ময়দানে ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন।
প্রতিটি ঈদগাহ মাঠে পুলিশ ও র্যাবের কঠোর নজরদারি রাখা হয়। জেলার ওইসব এলাকায় মোট সাড়ে ৮০০টি ঈদের জামাতে হাজার হাজার মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে নীলফামারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন এ ঈদ জামাতে। নীলফামারী বড় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা খন্দকার মো. আশরাফুল হক এতে ইমামতি করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় পুলিশ লাইন্স ঈদগাহ মাঠে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউস ঈদগাহ মাঠ, কুখাপাড়া (ধনীপাড়া) ঈদগাহ মাঠ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জেলা শহরের জোরদরগাঁ ঈদগাহ মাঠ ও মুন্সীপাড়া আহলে হাদিছ ঈদগাহ মাঠে। সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলেজ স্টেশন ঈদগাহ মাঠ ও গাছবাড়ী পঞ্চপুকুর ঈদগাহ মাঠে।
জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের সবদিগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে। এখানে প্রায় এক লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এ মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলার ৬০টি গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন স্থানের মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেন। এখানে ইমামতি করেন মাওলানা তছলিম উদ্দিন। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে এ ঈদগাহ মাঠে ইমামতি করে আসছেন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলা কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানা এবং ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। নীলফামারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হাজারো মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ।
অপরদিকে পুলিশ লাইন্স ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আদায় করেন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান আতিক, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার ও ডিবির ওসি শাহজাহান পাশা।
অন্যদিকে জেলার ডিমলা উপজেলার প্রধান ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন এলাকার সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, জলঢাকায় একইভাবে সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সৈয়দপুরে সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
আরবি/
