কেবল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের একটি শেডে সাঁতার দেখতে কিছু সংখ্যক দর্শনার্থীদের ভিড় করতে দেখা গেছে। আর অন্য প্রাণির শেডগুলোর সামনে তেমন দর্শনার্থীর দেখা মেলেনি।
দর্শনার্থীরর জন্য কর্তৃপক্ষ ঈদের পরের দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। প্রতিবছর ঈদের পরের দিনগুলোতে দর্শনার্থীর ঢল নামে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঈদের দিন সোমবার (২৬ জুন) দুপুরের পর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে চিড়িয়াখানায় আসতে শুরু করেন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের মানুষ। এসেছেন তরুণ-তরুণীরাও। বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সরব হতে শুরু করছে চিড়িয়াখানা।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম দিন দর্শনার্থী ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আর ঈদের পরের দিনগুলোতে এই সংখ্যা লাখ ছাড়বে।
বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় আড়াই হাজার প্রাণির মধ্যে বানর এবং বাঘ-সিংহের খাচার সামনে ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
তবে বানরের বাদরামি সে রকম চোখে পড়েনি। বানরের খাচায় দেখা গেছে নোংরা পরিবেশ, মাছির উৎপাত। দুর্গন্ধে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারছিলেন না দর্শনার্থীরা।
ডেমরার তারাবো থেকে চতুর্থ শ্রণিতে পড়ুয়া মেয়ে শামীমাকে সঙ্গে করে এসেছেন তৈয়ব আলী। বললেন, মেয়ের জন্যই এসেছেন তিনি।
শামীমা জানায়, বাঘ, সিংহ, হরিণ, বানর দেখা হয়েছে। ঈদের দিন বেড়াতে তার ভালোই লাগছে।
প্রধান ফটক থেকে ডান পাশে হরিণের খাঁচার পরে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পানিতে নেমে সাঁতার কাটা উপভোগ করছিলেন দর্শনার্থীরা।
তবে সাঁতার কাটার পানিতে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন পড়ে নোংরা অবস্থা তৈরি হয়েছে।
চিড়িয়াখানার সহকারী তথ্য কর্মকর্তা শামছ আলী নয়ন জানান, প্রথম দিন সাধারণত দর্শনার্থী কম হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন দর্শনার্থী হবে বেশি।
এবারের ঈদে নতুন কোনো আকর্ষণীয় প্রাণি না থাকলেও ময়ুর, হরিণ, বানর, রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং বিভিন্ন প্রকারের পাখি দর্শনার্থীদের বিনোদন যোগাবে বলে জানান নয়ন।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশসহ নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে আনসার সদস্যরা সতর্ক রয়েছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
৩০ টাকার টিকিটের মাধ্যমে প্রবেশের পর রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন নানা প্রাণি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস