ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাতিরঝিলে ছোটদের প্যাডেল, বড়দের ইঞ্জিনচালিত বোট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
হাতিরঝিলে ছোটদের প্যাডেল, বড়দের ইঞ্জিনচালিত বোট হাতিরঝিলে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ প্যাডেল ও ইঞ্জিনচালিত বোট-ছবি-দীপু মালাকার

ঢাকা: আঁকাবাঁকা পথ, ফুটওভার ব্রিজ, কাঠ বাদাম তলা সব স্থানই দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত। শিশু থেকে বৃদ্ধ, তর‍ুণ-তর‍ুণী, যুগল কেউই বাদ যায়নি। অনেকেই এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ঈদের দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলে নেমেছে জনতার ঢল। 

সোমবার (২৬ জ‍ুন) সকাল থেকেই হাতিরঝিলে লোকজন আসতে শুরু করে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নাগাদ জমজমাট হয়ে ওঠেছে হাতিরঝিল।

ঘোরাঘুরির পাশাপাশি শিশুদের প্যাডেল বোট আর বয়স্কদের ওয়াটার ট্যাক্সিতে মনোযোগ দেখা গেছে। প্যাডেল বোটে এক ঘণ্টা ২৫০ টাকা আর আধা ঘণ্টা ভ্রমণ ১৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্যাডেল বোট সীমিত হওয়ায় দর্শনার্থীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে।   

রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন প্যাডেল বোট স্টেশনে টিকিট হাতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন তারা। লাইনে সামিল হয়েছে শিশু থেকে তরুণ-তরুণী অনেকেই। তবে শিশুদের আধিক্য এখানে। চাপ সামলাতে না পেরে বিকেল ৫টায় সাময়িকভাবে টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

লম্বা লাইনে দর্শনার্থীরা-ছবি-দীপু মালাকারটিকিট বিক্রেতা শামীম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মোট ১০টি বোট রয়েছে। কিন্তু লোকজনের চাপ অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে বেশি লোককে সুযোগ দেওয়া যায়। সে কারণে ১ ঘণ্টা প্যাকেজের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। এখন শুধু ৩০ মিনিটের প্যাকেজ ছাড়া হচ্ছে। তবে সেটার বিক্রিও আপাতত বন্ধ।

তিনি জানান, তাদের স্টেশন থেকে কারওয়ান বাজার ও গুলশান রুটে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করে। প্রতি ১৫ মিনিট পর পর ট্যাক্সি ছেড়ে যায়। কারওয়ান বাজার ২৫ টাকা ও গুলশান যেতে ২০ টাকা নেওয়া হয়। তবে ঈদের দিন সেই সার্ভিস বন্ধ রয়েছে।

হাতিরঝিলে বোটে দর্শনার্থীরা-ছবি-দীপু মালাকারশামীম জানান, হাতিরঝিলে কারওয়ান বাজার, গুলশান, বাড্ডা ও রামপুরা রুটে ওয়াটার বোট স্টেশন রয়েছে। ঈদের দিনে বাড্ডা স্টেশন থেকে ওয়াটার বোটে হাতিরঝিল ঘুরে দেখানো হচ্ছে। প্রতি ৩০ মিনিটের ভ্রমণের জন্য ২৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

তবে এই ওয়াটার বোটগুলোও দর্শনার্থীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিকেলে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে এক শ্রেণির যুগলকে দেখা গেছে যাদের বোটের প্রতি মনোযোগ কম। তারা একান্তে আড্ডা দিচ্ছেন। চড়া রোদ থাকলেও ঝিলের পানি ছুঁয়ে আসা বাতাস শীতল পরশে জুড়িয়ে দিচ্ছে দর্শনার্থীদের প্রাণ। নগর জীবনে ঈদ উদযাপন করছেন তারা এভাবেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এসআই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।