এরপর এবাড়ি-ওবাড়ি ঘুরে স্বজনদের সালাম করে ঈদ সেলামি আদায়। নিজের থেকে একটু বড় কাউকে পেলেও সালাম করা।
গ্রামের ঈদ মানেই বাড়তি আনন্দ। স্বজনদের সঙ্গে দেখা। পাড়ার শিশুরা এখনও এবাড়ি-ওবাড়ি ঘুরে বেড়ায়। সেলামি আদায় করে। তবে সময় পাল্টেছে। এখন আর চার আনা বা আট আনা কিংবা পাঁচ-দশ ঈদ সেলামি নেই। দিতে হয় সর্বনিম্ন ৫ টাকা বা তদুর্ধ্ব।
পক্ষান্তরে কংক্রিটের শহরে ঈদের নামাজ পড়েই বাসায় ফেরা। পরিচিত দু’চারজনের সঙ্গে কোলাকুলি। বাসায় খানিক বিশ্রামের পর বিকেলে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখানো। এইতো শহরের ঈদ।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ মানে ধনী-গরিবের সংমিশ্রণ। শহরে এক কাতারে নামাজ পড়া যায়। কিন্তু ধনী-গরিবের তফাৎ থেকেই যায়। উঁচু তলার মানুষকে ছুঁতে পারে না নিচু তলার মানুষটি।
তিনি বলেন, এই বিত্তবানরা যখন গ্রামে যান, তখন নিজের স্বজন কিংবা দুর্জনকেও কাছে টেনে বুকে জড়াতে দেখা যায়। এইতো গ্রামের ঈদ। এইতো মাটি-মানুষের সম্প্রীতি।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসা একটি বেসরকারি কোম্পানির ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গ্রামে ঈদ মানে আলাদা আনন্দ। গ্রামের মানুষগুলোকে বুকে জড়ালেও শান্তি লাগে।
ঈদে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে আসা শাহ জামাল বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম। এবাড়ি-ওবাড়ি দৌঁড়াতাম। বড়দের সালাম করে সেলামি আদায় করার একটা প্রতিযোগিতা ছিল। ’
তিনি বলেন, শহর-নগরের জীবন কেবল যান্ত্রিক হতে শেখায় আমাদের।
সোমবার (২৬ জুন) গ্রামে হযরত গোলাপ শাহ (র.) মাজার ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে গ্রামের সেই চিরচেনা দৃশ্য নিজেকে শৈশবে ফেরায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এনইউ/আরআর