সরকারের মন্ত্রী, বিভাগীয় শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা এ ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
এরপর সকাল সোয়া ৯টায় এ মাঠেই ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম প্যান্ডেলের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ মসজিদে সর্বসাকুল্যে মাত্র এক হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাতকে ঘিরে রোববার (২৫ জুন) ময়মনসিংহ পৌরসভা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে। মাঠের ভিতরে নামাজের জায়গায় চুন দিয়ে কাতারের জন্য লাইন টানা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৬৯ সালের ০৫ মার্চ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৯ সালে এ মাঠে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ৫.৬৮ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ ঈদগাহ মাঠে ১.৭৭ একরের একটি পুকুর রয়েছে।
এ মাঠের চারদিকে রয়েছে গাছপালা। মাঠ সংলগ্ন জমিতে রয়েছে একটি আধুনিক দ্বিতল মসজিদ।
স্থানীয়রা জানায়, এ মাঠের ভেতরে ২০ হাজার মুসল্লি একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারলেও, ঠিক পাশের সড়কে আরো পাঁচ হাজার জন নামাজ আদায় করতে পারেন।
তবে বরষা কালে ঈদ হওয়ায় মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বৃষ্টিনিরোধক কোনো ত্রিপলের ব্যবস্থা নেই।
গতবারের মতো এবারও এ মাঠে ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন আঞ্জুমান ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আঞ্জুমান ঈদগাহ পরিষদের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঈদের নামাজকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, এখানে ঈদের প্রধান জামাতকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হবে গোটা এলাকা। এ জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রায় হাজারখানেক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, এ ঈদের জামাতকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে থাকবেন টহল পুলিশের সদস্যরাও। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন, এমনটি জানান কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ৫২৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এমএএএম/এসএনএস