রোববার (২৫ জুন) রাতে জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দিদার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে জনস্বার্থে স্ট্যান্ড রিলিজ (২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে অন্য জেলায় যোগদান) করে বাগেরহাট জেলায় যোগদান করতে বলা হয়।
সূত্রের অভিযোগ, যশোর ডিবি পুলিশের ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইমাউল হক ব্যাপক চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। তার নির্দেশে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ কুমার এবং সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযানের নামে বিভিন্ন এলাকার নিরীহ মানুষ ধরে এনে মিথ্যা মামলায় চালান কিংবা ক্রস ফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা নেওয়া শুরু করেন।
আরও অভিযোগ, আটক লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার সময় হাতে গোলাপ ফুল ধরিয়ে সেলফি তুলে (ভালো পথে ফেরানোর আহ্বান আখ্যা দিয়ে) নিজের ফেসবুক ও নামকাওয়াস্তে চলা কিছু মিডিয়ায় ‘বিশেষ ব্যবস্থা’র বিনিময়ে বড় হেডিংয়ে নিউজ প্রকাশ করে কৃতিত্ব দেখাতেন।
গত মে মাসের শেষ দিকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীকে যশোর থেকে আটকের পরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা নেওয়ার বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়াটার্স এবং খুলনা বিভাগীয় পুলিশের ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করা হলে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
এছাড়াও ডিবি পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলে-মেয়েসহ এক নারীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। এসব ঘটনা ছাড়াও একাধিক ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
তবে, দেরিতে হলেও ওসি ইমামুল হককে স্ট্যান্ড রিলিজের খবরে শুধুমাত্র ভুক্তভোগী নয়, খোদ পুলিশের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে সূত্রের দাবি।
সম্প্রতি, জেলা ডিবি পুলিশে একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য একই বিভাগের এক অফিসারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। ওই অফিসারকে ‘হেনস্তা’ করতে মিথ্যা নিউজ করানোসহ নানা অপতৎপরতার খবর সাংবাদিকদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘন্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এসএনএস