গত কয়েকদিন যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলেও রোববার (২৫ জুন) নির্ধারিত ভাড়াতেই যাত্রী খুঁজে পাচ্ছে না কাউন্টারের লোকজন।
রোববার রাতে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে সারি সারি বাস ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
মহাখালী বাস টার্মিনালে ঢাকা-শেরপুর রুটের ‘লুবনা পরিবহন’ বাস সার্ভিসের সুপারভাইজার মুকুল হোসেন বলেন, ঈদে বাড়িফেরা মানুষের চাপ নেই। আগের (নির্ধারিত) ভাড়ায়ও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ময়মনসিংহ রোডের কিছু যাত্রী থাকলেও গাড়ির অভাব নেই।
গাবতলী বাস টার্মিনালে ঢাকা-বরিশাল রুটের ঈগল পরিবহনের চালক আবুল খায়ের বলেন, ঈদের ছুটি একটু আগে থেকে শুরু হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকেই যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। শুক্র ও শনিবার অনেক যাত্রী ঢাকা ছাড়ায় এবার বাস টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ নেই।
সায়েদাবাস বাস টার্মিনালে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার আবদুল কুদ্দুস বলেন, টার্মিনালে যাত্রীর চাপ কম থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে পারছেন। ফেরিঘাটগুলোতে কোনো সমস্যা না হওয়ায় গাড়িগুলো সহজে নদী পার হতে পেরেছে।
ভোগান্তি না হওয়ার এটি অন্যতম কারণ বলে জানান কুদ্দুস।
রাজবাড়ীর সুবর্ণ পরিবহনের সুপারভাইজার মোতালেব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে শনিবার (২৪ জুন) পর্যন্ত সব জেলার যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে। রোববার দুপুরের পর থেকে বাস টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ পড়েনি। গতবছরের মতো এবারও ঈদের আগের দিন যাত্রীদের ডাকতে দেখা গেছে। অনেক গাড়িই যাত্রীর অভাবে ছাড়তে পারেনি।
গাবতলী ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রওশানুল হক বলেন, টার্মিনালের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের পাশাপাশি ৠাবও দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসই/এসএনএস