শেষ মুহূর্তে বাড়ির কর্তারা তাই ছুটছেন লাচ্ছা-সেমাইয়ের দোকানগুলোতে। সঙ্গে কিনছেন লাচ্ছা-সেমাইয়ে বাড়তি স্বাদ এনে দেওয়া হরেকপদের মসলাও।
রোববার (২৫ জুন) দুপুরে বগুড়া শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, রাজাবাজার, কাঁঠালতলাসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে এ তথ্য উঠে আসে।
ব্যবসায়ীরাও সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। শেষ মুহূর্তে লাচ্ছা-সেমাই ও সংশ্লিষ্ট সবকিছুর দাম কমবেশি বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়। বেশি পূঁজি খাটাতে করতে হয়। তবে লাভ কিন্তু বরাবরের মতই। মাঝখানে ক্রেতা সাধারণের ঝাড়ি খেতে হয়।
ফেরদৌস হোসেন, সেলিম আহমেদ, প্রবীর সরকার, সমীর বসাকসহ একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, এ জেলার তৈরি চিকন সাদা সেমাইয়ের খ্যাতি দেশজুড়ে। ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ী সুস্বাদু এ সেমাইকে প্রাধান্য দেন। এছাড়া নানা ধরনের প্যাকেটজাত ও খোলা সেমাইয়ের অভাব নেই স্থানীয় বাজারে।
ফেরদৌস রহমান, সুলতান মাহমুদ, প্রবীর সরকার, লিটন ঘোষসহ একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, এ জেলায় উৎপাদিত চিকন সাদা সেমাইয়ের খ্যাতি দেশজুড়ে। গুণেমানে ও স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। এখানকার ব্যবসায়ীরা এ সেমাইকে প্রাধান্য দেন।
এদিকে বগুড়ার আকবরিয়া গ্রান্ড, কোয়ালিটি, এশিয়া, শ্যামলীর, সাউদিয়া, বৈকালী, শম্বা, জলযোগের তৈরি ছাড়াও রয়েছে বনফুল, কুলসুম, ফুয়াং, প্রাণ, ড্যানিশ, ডায়মন্ড, মধুবন, অলিম্পিয়াসহ নানা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।
তারা জানান, লাচ্ছা-সেমাই, দুধ, চিনি ও নানা ধরনের মসলা কিনতে দোকানে দোকানে প্রচণ্ড ভিড় করছেন ক্রেতারা। লাচ্ছা-সেমাই রান্নায় সাদা এলাচ, কালো এলাচ, কিচমিচ, কাঁচা বাদাম, দারুচিনি, তেজপাতা জাতীয় মসলা ব্যবহার করা হয়।
একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, প্রত্যেক ঈদে অতিথি আপ্যায়নে লাচ্ছা-সেমাইয়ের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে লাচ্ছা-সেমাই বাঙালির ঈদের ঐতিহ্যের অঙ্গ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমবিএইচ/এএ