ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং হবে গোর এ শহীদ ঈদগাহ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং হবে গোর এ শহীদ ঈদগাহ গোর এ শহীদ ঈদগাহ ময়দান

দিনাজপুর: পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনা শরিফের মসজিদে নববীর পরই দিনাজপুরে গোর এ শহীদ বড় ময়দানে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতের আশা করছেন জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর আসনের এমপি ইকবালুর রহিম।
তিনিই এ ঈদগাহের রূপকার।

রোববার (২৫ জুন) ঈদের আগের দিন বিকেলে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন ইকবালুর রহিম।

তিনি বলেন, দিনাজপুর জেলা শহরের ঐতিহাসিক গোর এ শহীদ বড় ময়দানকে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এবারের ঈদের জামাতে এ ময়দানে দিনাজপুরের সকল  মুসল্লিকে নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছি। তবে জোর নেই। আশা করি, সবাই স্বপ্রণোদিতভাবেই আসবেন এ জামাতে নামাজ পড়তে।

ইকবালুর রহিম বলেন, ৫২ গম্বুজের এই ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। নিরাপত্তার জন্য মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না আনার অনুরোধ জানান তিনি।
গোর এ শহীদ ঈদগাহ ময়দান
ঈদগাহের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইকবালুর রহিম বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হওয়ার পর আমার চিন্তা ছিল কীভাবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা যায়। এ চিন্তা থেকে আমার মনে এসেছে কীভাবে দিনাজপুরকে ব্র্যান্ডিং করব। এটি প্রতিষ্ঠা করে যত না আমি সম্মানিত বোধ করছি, দিনাজপুরবাসী তথা বাংলাদেশ সম্মানিত হবে।

আমার মনে হয় এট‍াকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহের মাঠে পরিণত করতে পারব। যদিও এ মাঠের মালিকানা সেনাবাহিনীর। এট‍া প্রতিষ্ঠা করতে আমি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন, যোগ করেন ইকবালুর রহিম।

দিনাজপুর সদর আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, এখানে ঈদের দিন সকাল ৯টায় নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গোর এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ২০১৫ সালে এই ঈদগাহের পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। দেড় বছরে এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়।
গোর এ শহীদ ঈদগাহ ময়দানের সামনে ইকবালুর রহিম
তিনি জানান, ৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট মিনারের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। সব মিনার ও গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ ফুট।

ইকবালুর রহিম বলেন একসঙ্গে নামাজ আদায়ে জেলা শহরের মহল্লাভিত্তিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঈদগাহ মাঠ পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে সম্মত হয়েছেন তারা। সমাগম বাড়লে আগামীতে মাঠের পরিধি আরেও বাড়ানো হবে। অনেক নারী এবারের জামাতে নামাজ পড়তে চেয়েছিলেন। এবার ব্যবস্থা করতে পারিনি। আগামীবার অবশ্যই ব্যবস্থা করব।

স্থানীয় সরকারের অর্থায়নে ঈদগাহ ময়দানটি নির্মাণে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
কেজেড/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ