ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে আসতে একেকজন যাত্রীর যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, টার্মিনাল থেকে ঘরে ফিরতে তার চেয়ে ঢের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সেন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার।
লঞ্চঘাট থেকে সেন্দ্রা পর্যন্ত অটোরিকশায় আসতে তাকে ৪ সিটের জন্য ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৩০০ টাকা, জনপ্রতি ৩২৫ টাকা। চালকের পাশের ‘অবৈধ’ দু’টিসহ ৫ সিটের অটোগুলোতে আগে প্রতি সিটের জন্য ভাড়া নেওয়া হতো ৮০ টাকা।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে সেন্দ্রা বাজারের দূরত্ব ২৬/২৭ কিলোমিটার।
আব্দুল জব্বার বলেন, অনেকগুলো সিএনজি দেখলাম, সবাই একই টাকা চায়। ওরা সিন্ডিকেট করে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা কোন মগের মুল্লুকে বাস করছি আমরা। ঈদে ওরা ভাড়া কিছুটা বেশি নিতে পারে। তাই বলে এতো বেশি! অনেকের এ অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে উপায় কি?
আব্দুল জব্বারের স্ত্রী ফারহানা সুলতানা বলেন, ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে, দেখার কেউ নেই। সব যাত্রীরা ওদের কাছে জিম্মি।
তিনি বলেন, লঞ্চের ডেকে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসতে একেক জনের ভাড়া লাগে ১৫০ টাকা। আর সেখানে বাড়ির কাছে এসে সিএনজিতে জনপ্রতি ৮০ টাকার ভাড়া ৩২৫ টাকা দিতে হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন বলেন, সারা বছর তো বেশি ভাড়া নেই না।
তিনি বলেন, এখন তো আমরা শুধু লঞ্চ ঘাট থেকে যাত্রী পাই। কিন্তু ঘাটে আসার সময় খালি আসতে হয়।
চালকদের এমন অজুহাতে মূলত ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরাই। যদিও বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমইউএম/জেডএস