রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, রমজানে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে সমাগত হয় শাওয়ালের নতুন চাঁদ, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ঈদ মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন দিন।
ঈদ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তোলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পবিত্র এদিনে ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় সমাজ গঠনে ঈদ-উল-ফিতরের আবেদন তাই চিরন্তন। ঈদ-উল-ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- এ প্রত্যাশা করি।
আলাদা এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর সবার জন্য আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে ঈদুল ফিতর। মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে ঈদের শুভেচ্ছা।
ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসে। বিশ্বের সব মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক। আগামী দিনগুলো হোক সত্য ও সুন্দর।
তিনি আরও বলেন, হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ