ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যায় গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
খুলনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যায় গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি

খুলনা: খুলনার স্বর্ণ ব্যবসায়ী কমল চন্দ্র পাল হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

টাকা ও সোনার গহনা ছিনতাই করতেই কমলকে হত্যা করে তারই কর্মচারীসহ চারজন। হত্যার পর কমলের কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা নগদ এক লাখ টাকা ও ১৫/১৬ ভরি সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়।

রোববার (২৫ জুন) দুপুরে খুলনার মহানগর হামিক মো. শাহীদুল ইসলামের আদালতে গ্রেফতার দুইজন জবানবন্দিতে এ স্বীকারোক্তি দেন।

জবানবন্দি দেওয়া দুইজন হলেন- স্বর্ণ ব্যবসায়ী কমলের প্রতিষ্ঠান নিউ ভাই বন্ধু জুয়েলার্সের কর্মচারী রানা ও তার প্রতিবেশী আলম।

কমল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছোট ভাই খোকন পাল বাদী হয়ে রানা, আলম, আমজাদ ও লিটনের নাম উল্লেখ করে রোববার খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৌলতপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রানা, আলম, আমজাদ ও লিটন একত্রিত হয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী কমলকে ছুরি ও ক্ষুর দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। হত্যার পর কমলের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া নগদ ১ লাখ টাকা ও ১৫-১৬ ভরি স্বর্ণালংকার লিটনের কাছে রয়েছে। লিটন ও আমজাদ পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সহকারী কমিশনার সোনালী সেন স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শনিবার সকালে আটরা এলাকার একটি বাসায় বসে রানা, আলম, আমজাদ ও লিটন পরিকল্পনা করে রাতে কমলকে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে নিতে হবে।  

প্রতিদিন টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ কমলকে বাড়ি এগিয়ে দিতো তার কর্মচারী রানা। শনিবার রাতে কমল তাকে বাড়ি এগিয়ে দিতে বললে সে বলে তার অন্য কাজ রয়েছে, আজ সে যেতে পারবে না। তখন পার্শ্ববর্তী জামা-কাপড়ের ব্যবসায়ী আমজাদ কমলকে এগিয়ে দিতে যায়। একটি ইজিবাইকে করে আটরা পালপাড়া এলাকায় বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে কিছুদূর যাওয়ার পর রানা ও লিটন ওই ইজিবাইকে ওঠে। এরপর তারা ৪ জন মিলে ইজিবাইকটিকে জোর করে বাইপাস সড়কের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে কমলকে জবাই করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।  

হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার রাতেই কমলের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ছুটে যায় কর্মচারী রানা। রানার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতাল থেকে খানজাহান আলী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে কমল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত। রানার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আলমকে ফুলতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুইজন রোববার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ