নিহত আনিকার চরগনেশ গ্রামের প্রতিবেশীরা জানান, শনিবার (২৪ জুন) ভোরে শ্বশুর বাড়ি থেকে কাউকে না জানিয়ে স্বর্ণলংকার জামা-কাপড় নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন আনিকা। পরদিন সকালে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে সুইসাইড নোটে তিনি লিখে যান, “চলে গেলাম... পারলে ক্ষমা করে দিবেন.. না পারলে অভিশাপ দিবেন। আমি কোনকিছুর সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারছি না, সব কিছু অসহ্য লাগতেছে।
তবে তোমাদের মতো একটি ফ্যাফিলি পাওয়া প্রতিটা মেয়ের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার, তোমাদের সবার ভালোবাসা আমি কোনোদিনও ভুলবো না। সবচাইতে পালিয়ে যাওয়া বেটার। ”
আনিকার শ্বশুর বাড়ি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন পূর্বের প্রেমিকের সঙ্গে চলে যান আনিকা। তার মা-বাবা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ি নিয়ে গেলে সেখানে আত্মহত্যা করেন তিনি।
সোনগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম গলায় ফাঁস দিয়ে আনিকার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসএইচডি/এমজেএফ