তবে চারদিকের এতসব আনন্দ-আয়োজন থেকে বঞ্চিত রাজধানীর অসংখ্য পথশিশু। রাজধানীতে এমন কয়েকজন পথশিশুর সঙ্গে কথা হয় রোববার (২৫ জুন) দুপুরে।
বনানীর রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায় এক পথশিশুকে। কাছে ডেকে নাম জানতে চাইলে জাকির বলে পরিচয় দেয় শিশুটি। ঈদে কী কিনেছ প্রশ্ন করতে মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দেয় কিছুই না। ঈদের দিন কী করবা? এমন প্রশ্নের সোজা উত্তর- জানি না।
বনানী পেরিয়ে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় দেখা ফরহাদ হোসেন নামে আরেক পথশিশুর। রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে শহরের জৌলুসেআর অন্যের ঈদ আয়োজন দেখছে যেন!
ঈদের দিন কীভাবে কাটবে জানতে চাইলে ফরহাদ নামে ওই শিশু জানায়, স্যারেরা টাকা দিলে ঈদে গিয়ে মিষ্টি কিনমু। কেউ সেমাই দিলে হেইডা খামু। ঈদে নতুন জামা কাপড় কেনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে গায়ের পোশাকটি দেখিয়ে বলে, এইডাই পরমু।
শুধু জাকির বা ফরহাদ নয় এ শহরে শত শত পথশিশু রয়েছে যাদের জীবনে ঈদের দিন অন্য দিনের মতোই ক্ষুধা আর অনিশ্চয়তায় ভরা। ঈদের বাঁকানো চাঁদ তাদের মনে হাসি ফোটায় না।
এসব পথশিশুর কারো হয়তো বাবা-মা মৃত, কারো ববা-মা কোথায় আছে জানেও না তারা। পথে পথে ঘুরে চেয়ে চিন্তে কিংবা এটাওটা কিছু করে যৎসামান্য টাকায় দিন চলে তাদের। তাই ঈদের আনন্দ স্পর্শ করে না এসব পথশিশুকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ