ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যশোরে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার ভিড় কুতুবখানায়

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
যশোরে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার ভিড় কুতুবখানায় জমে উঠেছে টুপি-আতর-জায়নামাজ কেনাবেচা- ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: যশোরে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কুতুবখানার কেনাবেচা। ঈদ পোশাক কেনা শেষে এখন মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঈদগাহের নামাজ পড়ার উপকরণ টুপি জায়নামাজ সংগ্রহে। প্যান্ট, পায়জামা, পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাজিং করে কিনছেন টুপি। সঙ্গে শরীর থেকে খসবু ছড়াতে সংগ্রহ করছেন সুগন্ধি আতর।

ঈদ নামাজের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ তজবীহ, সুরমা, টুপি, জায়নামাজ। ক্রেতাদের পছন্দ বিবেচনায় শহরের কুতুবখানাগুলো ক্রুসের তৈরি দেশিয় টুপির পাশাপাশি তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা টুপি, জায়নামাজ, সুরমা দোকানে তোলা হয়েছে।

কোনো কোনো অভিজাত মার্কেটে মিলছে নকশিকাঁথার ডিজাইনে হাতে কাজ করা টুপি, জায়নামাজ। তরুণ-বৃদ্ধ সব বয়সীরাই এখন ভিড় করছেন কুতুবখানায়।

মুজিব সড়ক এলাকার শো-রুম ‘রঙ’ এ পাওয়া যাচ্ছে নকশি করা টুপি। শো-রুম ম্যানেজার মাসুদ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচ করে ক্রেতারা টুপি কিনছেন। শেষ মুহূর্তে এসে বিক্রিও ভাল হচ্ছে।

শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, বড় দোকানের পাশাপাশি ফুটপাতেও বসেছে অস্থায়ী কুতুবখানা। ফেরি করেও বেচাবিক্রি চলছে। অস্থায়ী দোকানে লম্বা বাঁশ পেতে টুপির পসরা সাজানো হয়েছে।

এইচএমএম রোডের অস্থায়ী একটি দোকান থেকে টুপি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পোশাক কেনাকাটা শেষ। এখন ঈদের নামাজ আদায় করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু কিনতে দুই সন্তান নিয়ে বাজারে এসেছেন।

শহরের চৌরাস্তার মোড়ের আশরাফিয়া কুতুবখানার স্বত্বাধিকারীর ছেলে তানভীর হাসান জানান, ‘আগে থেকেই টুকটাক বিক্রি হচ্ছিলো। তবে এখন চাপ বেড়েছে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চাড়াভিটা এলাকার ভূমিহীন পল্লীর জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তিনি সারাবছর ওয়াজ মাহফিলের মাঠে টুপি-আতরের দোকান বসান। তবে ঈদ উপলক্ষে গত চারদিন ধরে যশোর শহরের দড়াটানা মোড় ফুটপাতে টুপি-আতরের দোকান বসিয়েছেন।

গত দুইদিন ধরে ৬-৭ হাজার টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে, এতে বেজায় খুশি জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত দোকান করে বাড়ি ফিরব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।