ঈদ নামাজের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ তজবীহ, সুরমা, টুপি, জায়নামাজ। ক্রেতাদের পছন্দ বিবেচনায় শহরের কুতুবখানাগুলো ক্রুসের তৈরি দেশিয় টুপির পাশাপাশি তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা টুপি, জায়নামাজ, সুরমা দোকানে তোলা হয়েছে।
মুজিব সড়ক এলাকার শো-রুম ‘রঙ’ এ পাওয়া যাচ্ছে নকশি করা টুপি। শো-রুম ম্যানেজার মাসুদ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, পাঞ্জাবির সঙ্গে ম্যাচ করে ক্রেতারা টুপি কিনছেন। শেষ মুহূর্তে এসে বিক্রিও ভাল হচ্ছে।
শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, বড় দোকানের পাশাপাশি ফুটপাতেও বসেছে অস্থায়ী কুতুবখানা। ফেরি করেও বেচাবিক্রি চলছে। অস্থায়ী দোকানে লম্বা বাঁশ পেতে টুপির পসরা সাজানো হয়েছে।
এইচএমএম রোডের অস্থায়ী একটি দোকান থেকে টুপি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পোশাক কেনাকাটা শেষ। এখন ঈদের নামাজ আদায় করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু কিনতে দুই সন্তান নিয়ে বাজারে এসেছেন।
শহরের চৌরাস্তার মোড়ের আশরাফিয়া কুতুবখানার স্বত্বাধিকারীর ছেলে তানভীর হাসান জানান, ‘আগে থেকেই টুকটাক বিক্রি হচ্ছিলো। তবে এখন চাপ বেড়েছে।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চাড়াভিটা এলাকার ভূমিহীন পল্লীর জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তিনি সারাবছর ওয়াজ মাহফিলের মাঠে টুপি-আতরের দোকান বসান। তবে ঈদ উপলক্ষে গত চারদিন ধরে যশোর শহরের দড়াটানা মোড় ফুটপাতে টুপি-আতরের দোকান বসিয়েছেন।
গত দুইদিন ধরে ৬-৭ হাজার টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে, এতে বেজায় খুশি জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত দোকান করে বাড়ি ফিরব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
বিএস