শনিবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অপারেশনের মাধ্যমে ডেলিভারির সময় নবজাতকের মাথায় আঘাত লাগে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
তবে হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে, শিশুটির মাথায় আঘাত লাগেনি।
নবজাতকের মা ইয়ানুর বেগম (২৫) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ছোট বাইজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার স্বামী সাদাত হোসেন সোহেল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী।
মৃত নবজাতকের দাদী ফ্লোরা কচি জানান, তার পুত্রবধূ ইয়ানুর সন্তান প্রসবের জন্য শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা দেখে অপারেশন করতে হবে না বলে জানান। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইয়ানুরকে নরমাল ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। পরে অস্ত্রপচার করে ডেলিভারির সিদ্ধান্তের কথা জানান চিকিৎসকরা।
অপারেশন শেষে শিশুটিকে স্বজনদের হাতে দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই ওয়ার্ডে গেলে শিশুটির মাথার পেছনে কাটা দাগ দেখতে পান বলে জানান ফ্লোরা কচি। এরপরই এ বিষয়ে চিকিৎসকদের কাছে জানতে চান তারা। কিন্তু চিকিৎসকরা উল্টো বুঝিয়ে দেন তাদের।
রোগীর স্বজন মিরন মিরা জানান, শিশুর মৃত্যুর খবর তার মাকে দেওয়া হয়নি।
এ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা.এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, অপারেশন থিয়েটারে কেবল ইন্টার্ন নয়, ওই বিভাগের প্রধান সার্জনও ছিলেন। রোগীর অবস্থা দেখে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কথা থাকলেও সিজারের প্রস্তুতি রাখার জন্য স্বজনদের বলা হয়েছিলো। পাশাপাশি রক্ত জোগাড় করে রাখার জন্যও বলা হয়েছিলো।
শিশুটির মাথায় সেলাইয়ের চিহ্ন নয়, ওটা ক্যাপুট মেডুসা। যা হলে মাথা ফুলে এবং মাথার চামড়ায় ভাজ পড়তে পারে। তবে তা পরবর্তীতে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
পরিচালক বলেন, শিশুটির মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা ছিলো না। সকালে হাসপাতালের পরিচালক এসে সিনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে মৃত শিশুটিকে দেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমএস/আরআর