স্টেশন মাস্টার সিতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, শেষ দিনে ৬০টি ট্রেন আপ অ্যান্ড ডাউন চলাচল করবে। ইতিমধ্যে ১৫টি ট্রেন চলে গেছে।
রেলের পূর্বাঞ্চলের ২৩ রুটের মধ্যে ১৫টি রুটে ডেমু কমিউটার ও ১৫টি রুটে লোকাল ট্রেন চলাচল করে। এগুলোর মধ্যে দুরপাল্লার ট্রেনও রয়েছে।
শেষ দিনে কমিউটার বা লোকাল ট্রেনের যাত্রী বেশি হয়। কেননা, যারা বাসে বা অন্য কোনো ভাবে না যেতে পারেন তারা চলে আসেন। এছাড়া অনেকেই আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাননি, কেউবা হঠাৎ বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তাদের সঙ্গে যোগ হচ্ছেন অপেক্ষকৃত নিন্মবিত্ত বা দরিদ্র, হত দরিদ্র শ্রেণী। এরাই মূলত শেষ সময়ের যাত্রী।
কমিউটার ট্রেনের টিকিট যেহেতু আগে দেওয়া হয় না, তাই ছাড়ার আগে টিকিট নিলেই চলে। আর ঈদে চাহিদা বেশি থাকায় সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনের লাইন পড়ে গেছে।
জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনটি ছাড়বে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। রোমানা ইসলাম লাইনে দাঁড়িয়েছেন সকাল সাতটায়। অন্য কোনো গাড়ির টিকিট পাননি। তাই শেষ মুহূর্তেই বাড়ি যাচ্ছেন।
স্টেশন মাস্টার জানান, আমরা তিনটি স্পেশাল ট্রেনও চালাচ্ছি। এ গাড়িগুলোতেও শেষ দিনে ভিড় হয়।
শেষদিনে ট্রেনগুলোতে এতো ভিড় হচ্ছে যে, ছাদে বাফারে ঝুলে যাচ্ছেন অনেক যাত্রী। যা অপেক্ষাকৃতভাবে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। অথচ আইনত তা দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ বিষয়ে সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদে জন্য কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কেননা, মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। আমরা অনুৎসাহিত করতে নানা ধরণের প্রচারণা চালাচ্ছি। কিন্তু কাজে আসছে না। তাই যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
ইইউডি/বিএস