নানা ব্র্যান্ডের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে এবং ফুটপাতের দোকানগুলোতে জুতা বিক্রি হচ্ছে বেশি। আকর্ষণীয় নানান ডিজাইনের জুতা কিনে তবেই ঈদ কেনাকাটার সমাপ্তি টানছেন একেকজন।
আবার অনেকেই চাঁদ রাত পর্যন্ত জুতার দোকানে ভিড় করবেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ময়মনসিংহ নগরীর সি.কে.ঘোষ রোড এলাকার এপেক্স, বাটা, লোটো, জেনিস ও বিদ্যাময়ী স্কুলের সামনের ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের ব্যস্ততা।
জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকেই নগরীর বিভিন্ন জুতার দোকান নতুন সাজে সেজে উঠে। ঈদ একেবারেই ঘনিয়ে আসায় নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা ছুটছেন জুতার দোকানে।
এবারের ঈদে জুতার ডিজাইনে ভিন্নতার পাশাপাশি রঙেও এসেছে বৈচিত্র্য।
এপেক্সের শোরুমে জুতা কিনতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাদ্দাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ব্র্যান্ডের জুতা কিনতেই এসেছি। তবে এবার জুতার বাজার বেশ গরম। গতবারের চেয়ে এবার দাম বেড়েছে।
এবার লোফার সুজ ও বিভিন্ন স্যান্ডেলে বোতাম, ফুল আর কৃত্রিম পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
নগরীর বাটা, ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার দোকানে ক্রেতাদের অনেকেই এসেছেন সপরিবারে। তারা বিভিন্ন ডিজাইন দেখে তবেই কিনছেন। তরুণ-তরুণীরা ডিজাইনে নতুনত্বকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্নিকার্স ও কনভার্স তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। নিজের ছেলের জন্য পছন্দের স্নিকার্স কিনতে আসা গৃহবধূ সেলিমা নাজনীন বলেন, হাল সময়ে ফ্যাশন সচেতন তরুণরা পোশাকের সঙ্গে জুতাতেও সমান গুরুত্ব দেয়। তিনি ছেলের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা কিনতেই এখানে এসেছেন।
নামি-দামি ব্র্যান্ডের এসব জুতার দোকানের পাশাপাশি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারাও ভিড় করছেন নগরীর হকার্স মার্কেটে।
এখানে চাহিদা ও সামর্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে দোকানিরা হরেক জিডাইনের জুতার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এ মার্কেটে বিক্রি প্রত্যাশা মাফিক হওয়ায় দোকানিরাও খুশি।
এ মার্কেটে ফ্যাশন সুজ নামে একটি দোকানের বিক্রেতা জানান, ক’দিন আগেও জুতা কেনার বদলে দরদাম করার মধ্যেই ক্রেতাদের প্রবণতা ছিল বেশি। কিন্তু এখন শেষ সময়। তাই সবাই দেড়শ থেকে ৩ শ’ টাকা দামের জুতা কিনে বাড়ি ফিরছেন।
এসবের পাশাপাশি ফুটপাতের জুতার দোকানগুলোতেও উপচেপড়া ভিড়। দিনে-রাতে ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। দামও নাগালের মধ্যে থাকায় বিকিকিনিও হচ্ছে বেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমএএএম/আরআর