তবে শেষ সময়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের চিত্র ব্যতিক্রম। রোববার (২৫ জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কাটতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে গেলে কাউন্টার কর্মীরা জানান, লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের ৯০ শতাংশই ময়মনসিংহগামী বাসের টিকিটে প্রত্যাশী। তাদের বেশিরভাগ আবার এনা পরিবহনে যেতে চান। তবে এ চাপ কমে যাবে বেলা ১২টার মধ্যেই। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগামী যাত্রীদের কিছুটা ভিড় থাকলেও সকাল ১০টার মধ্যে তাও কমে যাবে।
ফলে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্যগুলোর মতোই চাপ কমবে বলেও জানান বিভিন্ন পরিবহনের কর্মীরা।
এনা পরিবহনের কর্মকর্তা সালাম বাংলানিউজকে জানান, ‘এই মুহূর্তে আমাদের পরিবহনে ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের চাপ একটু বেশি। সিলেটগামী যাত্রীদেরও কিছুটা ভিড় রয়েছে। তবে আশা করা যায়, দুপুরের মধ্যে মহাখালীতে যাত্রী চাপ অনেক কমে আসবে। তবে রাত পর্যন্ত যাত্রীদের যাতায়াত থাকবে মহাখালী থেকে’।
মহানগর পরিবহনের স্টাফ মুজিবুর বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন পরিবহনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রীদের চাপ প্রায় শেষ। এখন যেসব যাত্রীরা আসছেন, তারা টার্মিনাল থেকেই টিকিট কেটে বাসে উঠে পড়ছেন।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানান, কর্মস্থল থেকে দেরিতে ছুটি পাওয়া ও শেষ সময়ে যাত্রী চাপ কম থাকার আশায় তারা এসেছেন। পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে ও সময়মতো গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তারা।
ময়মনসিংহগামী যাত্রী মামুন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘এনা পরিবহনের টিকিট কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ে বাসগুলো ছেড়েও যাচ্ছে। নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো বলে ভাবতেই ভালো লাগছে’।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, রোববার চাঁদ দেখা গেলে সোমবার (২৬ জুন) সারা দেশে ঈদ-উল ফিতর উদ্যাপিত হবে। সে হিসেবে রোববারকে শেষ রোজা ও ঈদের আগের দিন হিসেবেই বিবেচনা করছেন সবাই। ফলে শেষদিনের যাত্রায় দলবেঁধে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ।
চাপ না থাকলেও এ ঈদযাত্রা রোববার গভীর রাত পর্যন্ত চলবে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৭
এমএ/এএসআর